সীমা হায়দার। —ফাইল চিত্র।
পাক বধূ সীমা হায়দারের কাছ থেকে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি যাচাই করার জন্য দিল্লিতে পাকিস্তানের দূতাবাসে পাঠাল নয়ডা পুলিশ। সীমার পরিচয় যাচাই করে দেখতেই নথি পাক দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে বলে সোমবার জানা গিয়েছে।
গত মে মাসে চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন সীমা। ভারতীয় নাগরিক সচিন মিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণেই নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে এসেছেন বলে দাবি করেছেন সীমা। পাকিস্তানি মহিলার এ হেন ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে তদন্তকারীদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই সীমা এবং সচিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। ওই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সীমার কাছ থেকে দু’টি ভিডিয়ো ক্যাসেট, চারটি ফোন, পাঁচটি বৈধ পাক পাসপোর্ট, একটি অব্যবহৃত পাসপোর্ট এবং একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সীমার মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তা পাঠানো হয়েছে গাজিয়াবাদের পরীক্ষাগারে। এই আবহে সীমার বিভিন্ন নথি পাক দূতাবাসে পাঠানো হল।
সীমা এবং সচিনের আধার কার্ড-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি বদলানোর অভিযোগে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই যুবককে বুলন্দশহরের আহমদগড়ের একটি জনসেবা কেন্দ্র থেকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। অভিযুক্ত পুষ্পেন্দ্র মিনা এবং পবন মিনা ওই জনসেবা কেন্দ্রেই কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পুষ্পেন্দ্র এবং পবন সম্পর্কে দাদা-ভাই। তাঁরা সচিনের তুতো ভাই বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
তাঁকে ভারতেই থাকতে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আর্জি জানিয়েছেন সীমা। তাঁর আবেদন, তিনি আর পাকিস্তানে ফিরতে চান না। সন্তানদের নিয়ে ভারতেই থেকে যেতে চান। এ দেশের আইন তাঁকে যা সাজা দেবে, তাই-ই মাথা পেতে নেবেন বলেও সীমা জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও একই আর্জি জানিয়েছিলেন সীমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy