রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বি সি নাগেশ জানিয়েছেন, হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ সত্ত্বেও যাঁরা হিজাব কাণ্ডের জন্য প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় বসেননি, তাঁদের সম্পর্কে নতুন করে কী ভাবে কোনও কিছু বিবেচনা করা সম্ভব? এমনটা হলে, যাঁরা অন্য কোনও কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি, তাঁরাও ফের সুযোগ চাইবেন। তা সম্ভব নয়।
প্রতীকী ছবি।
হিজাব বিতর্কের জেরে যাঁরা চলতি বছরে দ্বিতীয় প্রি ইউনিভার্সিটি কোর্স (পিইউসি)-এর পরীক্ষায় বসেননি তাঁরা নতুন করে আর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়ে দিল কর্নাটকের প্রি ইউনিভার্সিটি এডুকেশন দফতর। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, যে সমস্ত পড়ুয়ারা পিইউসি-র প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দেননি, তাঁদের কোনও ভাবেই দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হবে না।
গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে দ্বিতীয় পিইউসি-র প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে অনেক পড়ুয়াই পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে তাঁরা বিপাকে পড়বেন।
রাজ্য সরকারের তরফে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন হিজাব বিতর্কে অনুপস্থিত পড়ুয়াদের জন্য বিকল্প কী বন্দোবস্ত করা যায়। যদিও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা যাঁরা দেননি, তাঁদের অনুপস্থিত হিসাবে চিহ্নিত করা হবে।
রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বি সি নাগেশ জানিয়েছেন, হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ সত্ত্বেও যাঁরা হিজাব কাণ্ডের জন্য প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় বসেননি, তাঁদের সম্পর্কে নতুন করে কী ভাবে কোনও কিছু বিবেচনা করা সম্ভব? এমনটা হলে, যাঁরা অন্য কোনও কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি, তাঁরাও ফের সুযোগ চাইবেন। তা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় পিইউসি পরীক্ষায় মোট ১০০ পয়েন্ট থাকে। তার মধ্যে থিয়োরিতে ৭০ এবং প্র্যাকটিক্যালে ৩০ পয়েন্ট ছিল। সরকারের নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, যাঁরা প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দেননি, তাঁদের ৩০ পয়েন্টের পরীক্ষা দেওয়ার কোনও সুযোগ থাকছে না। তবে ৭০ পয়েন্টের পরীক্ষায় নির্দিষ্ট নম্বর পেলে তাঁদের উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ থাকছে।
যদিও উদুপি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কে রঘুপতি ভাট সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, মুসলিম পড়ুয়াদের আরও একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য। তাঁর আবেদন অবশ্য খারিজ করেছে সরকার। এর পাশাপাশি রঘুপতির দাবি, যে সমস্ত পড়ুয়ারা শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি তৈরি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy