পঞ্চায়েত প্রধানের দৃঢ় সিদ্ধান্তে কমল উত্তেজনা। — ফাইল ছবি।
এক তরুণের দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসের জেরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্রের এক গ্রামে। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে যাওয়ার আগেই সরপঞ্চের দৃঢ় পদক্ষেপ। তাতেই শান্তি ফিরল গ্রামে।
মহারাষ্ট্রের সাবর্ডে গ্রাম। হিন্দু, মুসলিম মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। কয়েক দিন আগে সেই গ্রামেরই বাসিন্দা ১৮ বছরের এক তরুণ নিজের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিয়ো স্টেটাস দেন। তরুণ ভিডিয়োর মাধ্যমে অওরঙ্গাবাদের নাম বদলের বিরোধিতা করেছিলেন। তাতে ভাবাবেগ আহত হওয়ার অভিযোগ করেন কয়েক জন গ্রামবাসী। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। গত ১৬ মার্চ, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের অন্তত ৫০০ গ্রামবাসী ওই তরুণের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তাঁকে গ্রেফতারির দাবি তোলেন। পাশাপাশি ওই পরিবারকে একঘরে করারও দাবি ওঠে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে গ্রামে। পুলিশ গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করে।
অভিযুক্ত তরুণ মহম্মদ মোমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর গ্রামবাসীদের একটি অংশ পঞ্চায়েত প্রধান অমল কাম্বলের উপর ওই পরিবারকে একঘরে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সেই সময়ই দৃঢ় পদক্ষেপ কাম্বলের। তিনি বলেন, ‘‘আমিও ওদেরই (বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা) অংশ। কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার পক্ষেও যথেষ্ট কঠিন ছিল। হ্যাঁ, আমার উপর চাপ ছিল। কিন্তু একটি পরিবারকে একঘরে করে রাখার মতো কোনও সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি না। তাই গ্রামবাসীদের দাবি মানতে পারিনি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি জানি, আমার লোকজন আমার সিদ্ধান্তে আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু গ্রামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছ়ড়িয়ে পড়ুক, এটা আমি বেঁচে থাকতে করতে দেব না। যা হয়েছে, তা হওয়া ঠিক নয়।’’
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দৃঢ় পদক্ষেপে গ্রামে শান্তি ফিরেছে ঠিকই, কিন্তু এখনও পুরোপুরি আতঙ্ক মুক্ত হতে পারেনি মোমিনের পরিবার। কিন্তু ওই পরিবারেও ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সরপঞ্চ কাম্বলে। ওই পরিবারের দাবি, কাম্বলে যত দিন পাশে আছেন, ভয় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy