সাহিল সব সময় নেশা করে থাকতেন। মাদকের নেশা তো ছিলই, এমনকি বহু মহিলার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল। আর এই নেশাই সাহিলকে খুনি বানিয়েছে বলে দাবি তাঁর ঠাকুরমা। মুস্কানের বাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত সাহিলের সঙ্গেও তাঁর পরিবারের কেউ দেখা করতে আসেননি। তবে বুধবার মেরঠ জেলে সাহিলের সঙ্গে দেখা করতে বুলন্দশহর থেকে ছুটে আসেন তাঁর অশীতিপর ঠাকুরমা।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সাহিলের ঠাকুরমা জানান, নাতির জন্য কিছু পোশাক এবং নিমকি নিয়ে এসেছেন। তবে তাঁর কণ্ঠে সৌরভের জন্যই বেশি হতাশা ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, ‘‘সৌরভের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ভাল হয়নি।’’ পরিবারে কে কে আছেন? সাংবাদিকরা সাহিলের ঠাকুরমাকে এই প্রশ্ন করেছিলেন। তখন তিনি জানান, বুলন্দশহরের বাড়িতে তিনি থাকেন। সাহিল তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। বছরখানেক আগে সাহিলের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাবা নয়ডায় থাকেন। এক বা দু’মাস অন্তর বুলন্দশহরের বাড়িতে আসেন।
বৃদ্ধা আরও জানান, সৌরভ হত্যার অভিযোগে সাহিল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ করেননি সাহিলের বাবা। তাঁর কথায়, ‘‘সাহিলের বাবা আসবে কি না জানি না।’’ তবে সাহিল যে অত্যন্ত নেশা করতেন, সে কথা স্বীকার করেছেন তাঁর ঠাকুরমা। তাঁর কথায়, ‘‘সাহিলের দু’ধরনের নেশা ছিল। একটা ছিল মাদকের নেশা। অন্যটি মহিলার নেশা। হয়তো নেশার কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সাহিল।’’
মেরঠের জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা জানিয়েছেন, জেলের নিয়ম অনুযায়ী সাহিলের সঙ্গে তাঁর ঠাকুরমাকে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। জেল সুপারের দাবি, জেলের ভিতরে সাহিলের সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার করা হয়নি। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিও মিথ্যা। ১০ দিন পর জেলের ভিতরে কোনও কাজে শামিল করা হবে সাহিলকে। এ কথাও জানিয়েছেন জেল সুপার।
গত ৪ মার্চ মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সৌরভের স্ত্রী মুস্কান এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল।