বিহারে আসন্ন বিধানসভা ভোটে মহাগঠবন্ধনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কংগ্রেস। শুক্রবার কানহাইয়া কুমারের ‘পলায়ন রোখো, নকরি দো’ (প্রস্থান রুখুন, চাকরি দিন) যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচিতে কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট বললেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’’
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া বিহারের যুবসমাজের চাকরির দাবিতে গত ১৬ মার্চ পশ্চিম চম্পারণের ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রম থেকে এই যাত্রা শুরু করেছিলেন। শুক্রবার পটনায় আনুষ্ঠানিক ভাবে‘পলায়ন রোখো, নকরি দো’ যাত্রার ইতি হয়। সেই সমাপ্তি কর্মসূচিতে রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন বলেন, ‘‘যদি বিধানসভা ভোটের পর তেজস্বীর সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন থাকে, তা হলে তিনি কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন। তার পর সিদ্ধান্ত হবে।’’
চলতি বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরার দাবি ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে বিরোধী জোটের অন্দরে। এই আবহে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতা সচিনের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, লালুর উপর চাপ বাড়িয়ে বেশি সংখ্যায় আসন আদায়ের উদ্দেশ্যেই এই কৌশল নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটে আসন রফা নিয়ে বিহারে আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। বেগুসরাইয়ে কানহাইয়া কুমার, পূর্ণিয়ায় পাপ্পু যাদবকে আসন ছাড়েননি তেজস্বী। এমনকি, ‘কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি’ হিসাবে পরিচিত অওরঙ্গাবাদে দলের প্রাক্তন সাংসদ নিখিল কুমারকেও লালুর দল আসন ছাড়েনি। নিখিলের বাবা বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহ ওই কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ। শেষ পর্যন্ত নির্দল হিসাবে লড়ে পূর্ণিয়ায় বিজেপি সমর্থিত জেডিইউ প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন পাপ্পু। আরজেডি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। অনেকে মনে করছেন, বিধানসভা ভোটের আগে পাল্টা চাপের রাজনীতির পথে হাঁটার বার্তা দিল কংগ্রেস।