রাজস্থান পুলিশের দৃঢ় ধারণা, সচিন শিবিরকে সক্রিয় ভাবে সহযোগিতা করছে হরিয়ানা পুলিশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে সচিন পাইলটদের সাহায্যের অভিযোগ করলেও এ বার তাদেরই দ্বারস্থ হল রাজস্থান পুলিশ। সচিন-সহ ১৯ কংগ্রেস বিধায়কের খোঁজে মঙ্গলবার বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশকে চিঠি লিখেছে তারা। তাতে তদন্তে সহযোগিতা করার আর্জি জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ।
সচিন পাইলটদের খোঁজে গত সপ্তাহে শুক্রবার প্রথম হরিয়ানার মানেসরের একটি রিসর্টে হানা দেয় রাজস্থান পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ)। তবে তাঁদের দেখা পাওয়া তো দূর অস্ত্, ওই রিসর্টে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি রাজস্থান পুলিশের এসওজি-র। পরে রিসর্টে ঢোকার অনুমতি পেলেও সেখানে সচিনদের দেখা পাওয়া যায়নি। রাজস্থান পুলিশের দাবি, সচিনদের রিসর্টের গোপন দরজা দিয়ে সরিয়ে দেয় হরিয়ানা পুলিশ। এর পর রবিবার ফের মানেসরের অন্য একটি রিসর্টে যান রাজস্থান পুলিশের এসওজি আধিকারিকেরা। তবে এ বারও হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয় অশোক গহলৌতের পুলিশকর্মীদের। মিনিট কুড়ি অপেক্ষার পর রিসর্টের দরজা থেকেই ফিরে আসতে হয় তাঁদের। গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানার পুলিশের দিকে। অবশেষে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগের তদন্তে সেই হরিয়ানা পুলিশেরই সহযোগিতা প্রার্থনা করল রাজস্থান পুলিশ।
রাজস্থান রাজনীতিতে তুমুল ডামাডোলের মাঝে এক সপ্তাহের উপর দিল্লির কাছে মানেসরের দু’টি রিসর্টে ঘাঁটি গেড়েছেন সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশোক গহলৌত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে সচিন পাইলটের বিরুদ্ধে। অশোক গহলৌতের দাবি, রাজস্থান সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য অর্থের বিনিময়ে কংগ্রেস বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। এবং এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছেন রাজস্থানের নেতা তথা কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। একাধিক অডিয়ো টেপে শোনা গিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ তাঁর ঘনিষ্ঠর সঙ্গে সচিন অনুগামী ভাঁওয়ার লাল শর্মার কথোপকথন। যদিও ওই অডিয়ো টেপের কণ্ঠস্বর তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন শেখাওয়াত। তবে বিধায়ক কেনাবেচার তদন্তের শুরুতেই শেখাওয়াতে বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করেছে রাজস্থান পুলিশ। সেই সঙ্গে সচিন-ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ভাঁওয়ার লাল শর্মা এবং রাজস্থানের পর্যটনমন্ত্রী বিশ্বেন্দ্র সিংহকে সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস। এর পর ভাঁওয়ার লালের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মানেসরের রিসর্টে গেলেও তাতে কাজের কাজ হয়নি। পাশাপাশি, সচিন পাইলটরা বর্তমানে মানেসরেই রয়েছেন কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিজেপি শিবিরের একটি সূত্রের খবর, সচিনরা মানেসর থেকে দিল্লিতেে এসেছেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের সামনেই বাইক থেকে নামিয়ে গুলি করা হল সাংবাদিককে
তবে তাতে নিশ্চিত নয় রাজস্থান পুলিশ। সচিনরা দিল্লিতে থাকলেও যাতে তাঁদের নাগাল পাওয়া যায়, সে চেষ্টাও শুরু করেছে রাজস্থান সরকার। পাশাপাশি, ওই ১৯ বিধায়ক বার বার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় রাজস্থান পুলিশের দৃঢ় ধারণা, সচিন শিবিরকে সক্রিয় ভাবে সহযোগিতা করছে হরিয়ানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়াবাড়ি, আগামী বছরই সাবমেরিন ধ্বংসকারী বিমান হাতে পাচ্ছে ভারত
হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে এর আগে সেই অভিযোগ আনলেও এ বার তদন্তের খাতিরে ওই পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছেই সহযোগিতা প্রার্থনা করল রাজস্থান পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy