বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।
গত এক দশকে চিনের প্রভাব ক্রমশ বেড়ে ওঠা ভারত মহাসাগরের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কায় পাঁচ দিনের সফরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবার পর্যন্ত মলদ্বীপে কূটনৈতিক কর্মসূচি। তার পর যাবেন কলম্বো।
সমুদ্রপথে চিনের একাধিপত্য প্রতিরোধ করতে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক দৌত্য বাড়াচ্ছে সাউথ ব্লক। আজ মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদের সঙ্গে আদ্দু সিটি-তে আঞ্চলিক এবং সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন জয়শঙ্কর। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও হয়েছে। জয়শঙ্করের কথায়, “এক বছরেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে মলদ্বীপ এলাম। এই সময়ের মধ্যে কোভিড থাকা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্রুত অগ্রগতি ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ-র নেতৃত্বে আমাদের সহযোগিতা, অতিমারির বিপর্যয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করতে সক্ষম হয়েছে।”
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “আমরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকগুলি নিয়ে কথা বলেছি। পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং পর্যটন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের মধ্যে উন্নয়নমুখী অংশিদারিত্ব অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং তা সরাসরি মলদ্বীপের চাহিদা এবং অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে করা। মলদ্বীপের জন্য আমাদের সহায়তা ২৬০ কোটি ডলারের। যার মধ্যে রয়েছে কম সুদে ঋণ, মলদ্বীপের বাজেট সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা তৈরির জন্য অনুদান।”
আজকের বৈঠকের পর মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে বলেন, “আপনি ইতিহাস গড়লেন। এই প্রথম রাজধানী মালে-র বাইরে কোনও সরকারি আলোচনা হল।” তাঁর কথায়, “প্রেসিডেন্ট সোলিহ-র নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করাটাই আমাদের অগ্রাধিকার।”
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এমন সময় মলদ্বীপে পা রেখেছেন জয়শঙ্কর, যখন সেখানে উত্তাল ভারত বিরোধিতা চলছে। গত দু’বছর ধরেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ শব্দ দু’টি ব্যবহার করছেন মলদ্বীপের বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ ও তাঁর সরকার মলদ্বীপকে ভারতের কাছে বেচে দিয়েছে। বর্তমানে কিছুটা ভারতপন্থী মলদ্বীপ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, ভারত নাকি এক বিরাট সংখ্যক সেনা এই দ্বীপরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে বর্তমান মলদ্বীপ সরকার। এটা ঘটনা, মলদ্বীপের উপকূল রক্ষীদের জন্য উথুরু থিলাফালহু বন্দর বানিয়ে দিচ্ছে ভারত। পাশাপাশি, বিমানের সাহায্যে মলদ্বীপের আকাশে নজরদারি চালানো, দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ এবং এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের দায়িত্বও পালন করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। আর এই উদ্যোগগুলিকে নিয়ে প্রচার করে বিরোধীরা মলদ্বীপকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy