ফাইল চিত্র।
এক বছরেরও বেশি সময় সীমান্তে থাবা গেড়ে বসে রয়েছে চিনা সেনা। দু’দেশের মধ্যে এগারো রাউন্ড বৈঠকের পর এখনও সম্পূর্ণ পিছু হটেনি তারা। বিষয়টি নিয়ে প্রবল চাপের মধ্যে সাউথ ব্লক। আজ একটি কূটনৈতিক সম্মেলনে চিনা নীতির কঠোর সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, ভারত-চিনের সম্পর্ক কাঁটার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সীমান্ত যত ক্ষণ না শান্ত হবে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েন লেগেই থাকবে।
‘ভারত চিন এবং আমেরিকা— এক নতুন ভূকৌশলগত প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা চৌরাস্তার মোড়ে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দাঁড়িয়ে রয়েছে, কোন দিকে যাবে তা নির্ভর করছে চিনের উপর। যদি সীমান্তে শান্তি এবং সম্প্রীতি নষ্ট করা হয়, রক্তপাত করা হয়, অবিরাম সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়া হয়, তা হলে সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বেই।’’
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলই হোক অথবা আফ্রিকা বা ইউরোপ— ভারত চিনের সঙ্গে বাণিজ্যক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় রাজি— এ কথাও আজ জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যাপারটা এ রকম নয় যে আমরা আশা করছি, বিশ্ব রাজনীতিতে এগিয়ে যাব কোনও প্রতিযোগিতা ছাড়াই। আমরা প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি। সেটা কোনও বড় বিষয় নয়। বিষয়টা হল, কী করে একটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ঠিক রাখা যাবে, যখন এক পক্ষ থেকে ক্রমাগত সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়।’’
সম্প্রতি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোয়াড বা ভারত-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের চর্তুদেশীয় অক্ষকে কার্যত খোঁড়া করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগতে দেখা গিয়েছে বেজিংকে। তারা কোয়াডকে চিন-বিরোধী অক্ষ হিসাবে দাগিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ-সহ বেশ কিছু প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আগাম বার্তা দিচ্ছে কোয়াড-এ যোগ না-দেওয়ার জন্য। আজ জয়শঙ্কর অবশ্য কোয়াডকে ‘চিন-বিরোধী’ জোটের তকমা দেওয়ারও বিরোধিতা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এটা দ্বিতীয় ঠান্ডা যুদ্ধ হচ্ছে না। সে রকম কোনও তীব্র সামরিক সংঘাতও নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy