বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে ভারতের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে সদ্যসমাপ্ত জি২০-র ‘সাফল্যের’ প্রচার। অন্য দিকে, কানাডার থেকে আসা ‘খলিস্তানি ধাক্কা’ সামলে ওঠার চেষ্টা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূত হিসাবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর। বিশ্বের গরিব, অনুন্নত রাষ্ট্রগুলির (গ্লোবাল সাউথ) মঙ্গলের জন্য মোদীর নেতৃত্বকেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরবেন তিনি। নাম না করে কানাডার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হতেও দেখা যেতে পারে বিদেশমন্ত্রীকে, যিনি ইতিমধ্যেই ‘প্রভাবশালী রাষ্ট্রের দ্বিচারিতা’র প্রশ্ন তুলেছেন নিউ ইয়র্কে।
গতকাল নিউ ইয়র্কে ‘ইন্ডিয়া –ইউ এন গ্লোবাল সাউথ’ সংক্রান্ত একটি আলোচনাচক্রে বিশ্বে বিভাজনবাদের নিন্দা করে অনুন্নত দেশের পক্ষে সওয়াল করেন জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, “পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে মেরুকরণ খুবই তীব্র হচ্ছে ও উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বিভেদ বাড়ছে। জি২০তে ভারত তার মূল লক্ষ্যকে যাতে সম্মেলনের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারে, তার জন্য গোড়া থেকে সচেষ্ট ছিল।”
এই ‘মূল লক্ষ্যের’ ব্যাখ্যা করে বিদেশমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “সম্মেলনের কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল বিশ্বের বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন। আমরা যে গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনের বার্তা দিয়ে জি২০ শুরু করেছি, তা খুবই প্রশংসিত হয়েছে। উন্নয়নশীল ১২৫টি দেশের সম্মেলনে আপনাদের অনেকেই ছিলেন।” বিদেশমন্ত্রী মেক্সিকো, বসনিয়া, হার্জেগোভিনা, ও আর্মেনিয়ার বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপূঞ্জের সাধারণ সম্মেলনের পার্শ্বমঞ্চে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি, ভেষজ চিকিৎসা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যৌথ অংশিদারি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে। এর আগে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেটের সঙ্গেও দেখা করেন বিদেশমন্ত্রী, মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy