n কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এই ছবি ভারতের বিদেশমন্ত্রী নিজেই টুইট করেছেন।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সুস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে শুক্রবার মেলবোর্নে চতুর্দেশীয় অক্ষ তথা কোয়াড-এর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী। এই মুহূর্তে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন ফের ঠান্ডা যুদ্ধের পরিবেশ ফিরছে, তখন চিন-বিরোধী এই শক্তিশালী অক্ষের বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, কোয়াড একদিকে যেমন সরাসরি চিন-বিরোধী, পাশাপাশি রাশিয়ারও যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে এই আন্তর্জাতিক জোট নিয়ে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়াড তাদের নিজস্ব আলোচ্যসূচির পাশাপাশি সাম্প্রতিক রাশিয়া-চিনের মহাবৈঠকটির সম্ভাব্য পরিণামও খতিয়ে দেখেছে।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী ম্যারিস পেন, জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “স্বাধীন, উদার এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যে আমাদের প্রত্যেকের যে ধ্যানধারণা রয়েছে, তা পরস্পরের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমরা কর্মসূচি তৈরি করছি। আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি এবং সুস্থিতির জন্য তা প্রয়োজন।” পাশাপাশি তিনি বলন, “কোভিড অতিমারির মোকাবিলায় কোয়াডের চলতি প্রয়াসকে আরও পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে। কম দামে কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলির জন্য টিকা, তা বণ্টনের সুব্যবস্থা, এ জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়া ও দক্ষতা বাড়ানোর পথনির্দেশিকা তৈরি হয়েছে।”
বৈঠকের শুরুতে জয়শঙ্কর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, কোয়াড এত ভাল কাজ করছে, তার কারণ এর অন্তর্গত দেশগুলির নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই মজবুত। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, আপাতত দু’টি শক্তিধর ব্লকে (একদিকে রাশিয়া-চিন, অন্য দিকে আমেরিকা-ইউরোপ) আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভাজনের সম্ভাবনা যখন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে, তখন যুযুধান এই দু’পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে এই ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের’ তত্ত্বটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সাউথ ব্লক। অর্থাৎ, ভারত একই সঙ্গে আমেরিকা, জাপান, রাশিয়া এবং যতটা সম্ভব চিনের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত সম্পর্কের চাকাকে গড়িয়ে নিয়ে যেতে চায়। একমাত্র তা হলেই প্রত্যেকের সঙ্গে প্রয়োজনে প্রভাব খাটানো বা দরকষাকষির উপায় থাকে। আজ কোয়াডের মঞ্চে দাঁড়িয়েও সেই বিষয়টিকেই স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমরা বাস করছি একটি ভঙ্গুর, বহুবিভক্ত প্রতিযোগিতাদীর্ণ বিশ্বে। এই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যার প্রতিফলন বোধহয় সবচেয়ে বেশি। কোয়াডের মাধ্যমে সমমনস্ক সহযোগী দেশগুলি একজোট হয়েছি। আমার সর্বদাই মনে হয়, এ এক বিরাট ভরসার কথা।”
নিজস্ব সংবাদদাতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy