তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে আমির খান। —ফাইল চিত্র।
তুরস্ক যাওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছিল আগেই। এ বার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) রোষে পড়লেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। তাঁর দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, অসহিষ্ণুতা মন্তব্য টেনে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিনে আমিরের জনপ্রিয়তা নিয়েও।
তুরস্কে নিজের পরবর্তী ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’র শুটিং করার কথা আমির খানের। তার আগে কোথায় কোথায় শুটিং করা যায়, তা নিয়ে রেকি করতে যান তিনি। সেখানে তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনে এর্দোয়ানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছবি সামনে আসে। এমিনে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেন। তাতেই হুলস্থুল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সঙ্ঘের মুখপত্র ‘পঞ্চজন্য’-তেও সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। হিন্দিতে প্রকাশিত ওই সাপ্তাহিকে আমিরের দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে ও পরে দেশভক্তি নিয়ে অনেক ছবিই তৈরি হয়েছে। পরবর্তী কালে যদিও তার উপর পশ্চিমী সংস্কৃতির প্রভাব পড়ে। গত পাঁছ-ছ’বছরে ‘উরি-দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক,’ ‘মণিকর্নিকা’-র মতো আরও দেশভক্তির ছবি তৈরি হয়। অন্য দিকে, এমন কিছু অভিনেতা রয়েছেন, নিজের দেশ ভারতের তুলনায় চিন এবং তুরস্কের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ যাঁদের কাছে বেশি প্রিয়।’’
আরও পড়ুন: ফোনে কৈলাস, বাড়িতে মেনন, জোড়া-কথা সেরে শোভন শিবির বলল ‘ভাল আলোচনা’
আঙ্কারায় ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় পান্ডা যদিও এর আগে আমিরের তুরস্ক সফরের প্রশংসা করেছিলেন। আমিরকে ভারতীয় সংস্কৃতির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বলে উল্লেখ করেন তিনি। আমিরের মতো অভিনেতার তুরস্ক সফরকে বিশেষ মুহূর্তে বলেও উল্লেখ করেন সঞ্জয়। কিন্তু সঙ্ঘের মুখপত্রের দাবি, ‘‘সেখানকার ফার্স্টলেডির সঙ্গে ছবি তুলে আসলে উনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চাইছেন।’’
বেছে বেছে তুরস্ককেই কেন ছবির শুটিংয়ের জন্য বেছে নিলেন আমির, তা নিয়েও অভিনেতাকে কটাক্ষ করা হয়। বলা হয়, ‘‘যদি ধর্ম নিরপেক্ষই হবেন, তাহলে তুরস্কে শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন আমির? ওঁর সেই সাক্ষাৎকার কেউ ভুলে যাননি, যেখানে আমির বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী আতঙ্কে ভুগছেন। ভারত অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে।’’ যে দেশে সাংবাদিকরা কোণঠাসা, লাগাতার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে এবং যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চলে সারা ক্ষণ, সেই দেশের আনুগত্য দেখাচ্ছেন কেন?’’
আরও পড়ুন: কোথায় মোদীর বাবার চায়ের দোকান? তথ্য নেই পশ্চিম রেলের কাছে
একসময় একটি চিনা মোবাইল সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন করতে দেখা যেত আমির খানকে। তাঁর অভিনীত ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘দঙ্গল’, ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-এর মতো ছবিগুলিও সে দেশে ব্যাপক সাফল্য লাভ করে। কিন্তু সীমান্ত সংঘর্ষ ঘিরে এই মুহূর্তে পড়শি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই চিনে আমিরের জনপ্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় ওই নিবন্ধে। বলা হয়, ‘‘অভিনেতাদের মধ্যে শুধুমাত্র আমির খানের ছবিই কেন চিনে সাফল্য পায়? ওঁর দঙ্গল সে দেশে খুব হিট হয়েছিল। কিন্তু সলমন খানের সুলতান তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। অনেক চিনা পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও আমির, দেশের নিরাপত্তার তাগিদে সেদিকে নজরদারি চালানো উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy