প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সঙ্ঘ পরিবার। হায়দরাবাদে আজ তিন দিনের সমন্বয় বৈঠকের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সঙ্ঘের সহ-সরকার্যবাহ মনমোহন বৈদ্য বলেন, দেশের সর্ব্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তির নিরাপত্তা এ ভাবে বিঘ্নিত হওয়াটা আদৌ দেশের জন্য ভাল নয়। আজ মনমোহন বৈদ্যরা যখন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তখন নাগপুর পুলিশের পক্ষে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি দল নাগপুরে সঙ্ঘ পরিবারের সদর দফতরের অবস্থান খতিয়ে দেখে গিয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সঙ্ঘ পরিবারের সদর দফতর সংলগ্ন এলাকায় ফটো তোলা, ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে নাগপুর পুলিশ।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে হায়দরাবাদে শুরু হয়েছিল আরএসএস-এর সমন্বয় বৈঠক। দেশে সঙ্ঘের ছড়িয়ে থাকা ৩৬টি শাখা সংগঠনের ২১৬ জন সদস্য ওই বৈঠকে অংশ নেন। আজ সম্মেলনের শেষ দিনে বৈদ্য সাংবাদিক বৈঠকে পরশু পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়েও সরব হন। বৈদ্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মতো শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তির কনভয় আটকে পড়া অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। বিষয়টির তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যারা এর জন্য দায়ী সরকার তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা দেশের জন্য মোটেই ভালো নয়।” এ দিকে নাগপুর পুলিশ আজ জানিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর এক জঙ্গি গত জুলাই মাসে নাগপুরে সঙ্ঘের সদর কার্যালয় ও আশপাশ ঘুরে দেখে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করায় ওই বিষয়টি জানা যায়। ওই ঘটনায় নাগপুরের কোতয়ালি থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি সামনে আসার পরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সঙ্ঘ সদর দফতরের।
তিন দিনের বৈঠকে ভারত-কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা গোটা দেশের তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতে সরব হয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। বৈঠকে দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদেশি প্রভাব থেকে যথাসম্ভব মুক্ত রাখার উপরে জোর দেন সঙ্ঘ নেতারা। বৈদ্য বলেন, “আমাদের লক্ষ্যই হল ভারত কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা। সেখানে ভারতীয় ইতিহাসকে পড়ুয়াদের কাছে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।” তাঁর কথায়, ছোটদের শিক্ষায় আধ্যাত্মিকতার উপরে জোর দেওয়া প্রয়োজন, যাতে গোড়া থেকেই সমাজের জন্য কিছু করার ভাবনায় তাদের অনুপ্রাণিত করা যায়। বিরোধীরা জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে শিক্ষায় গৈরিকিকরণের যে অভিযোগ করে থাকেন, আজ সেই প্রসঙ্গে বৈদ্য বলেন, এই ধরনের অভিযোগ যারা করার তারা আগেও করেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত তার একটি নিজস্ব পরিচয় নিয়ে চলছে। কিন্তু দেশে একাধিক ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ রয়েছে, যারা ভারতের সেই পরিচয়কে অস্বীকার করতে চায়। যখনই দেশকে একাত্ম করার চেষ্টা করা হয় তখনই আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়। বৈদ্যর দাবি, এই গ্যাং আগের চেয়ে দুর্বল হয়েছে। শক্তি বেড়েছে সঙ্ঘের। গত ২০১৯-২১ সালের মধ্যে এক লক্ষ যুবক সঙ্ঘে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবি করেন বৈদ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy