দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশে হিন্দু নিগ্রহের প্রতিবাদে আজ দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্দেশে পদযাত্রায় অংশ নিল আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বিজেপির মদতপুষ্ট দিল্লির প্রায় দু’শোটি নাগরিক সংগঠন। তবে দিল্লি পুলিশ হাইকমিশনের অনেক আগেই বিক্ষোভকারীদের থামিয়ে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা চাণক্যপুরি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল।
দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গত কালই বাংলাদেশ সফর করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। দুই শিবিরের দাবি, দু’দেশের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। স্বভাবতই আজকের ওই মিছিল কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলেছে সাউথ ব্লককে। যদিও সংগঠকদের দাবি, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সমাজের মানবাধিকার হরণ চরমে পৌঁছেছে। তাই বাংলাদেশকে সরকারকে বার্তা দিতে আজকের দিনটি বেছে নেওয়া। যদিও রাজনীতিকদের মতে, বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতি জড়িত। সামনেই দিল্লি ভোট। তার পরে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন। তাই বাংলাদেশের ঘটনাকে সামনে রেখে দু’রাজ্যেই হিন্দু ভোটকে একজোট করার লক্ষ্য নিয়েছে গেরুয়া নেতৃত্ব। এই প্রতিবাদ মিছিল তারই অঙ্গ।
দিল্লির তিন মূর্তি চক থেকে প্রতিবাদ মিছিলের শুরু হয়। যাতে অংশ নেয় দিল্লির গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ একাধিক বাজার সমিতি, ছাত্র সংগঠন, দুর্গা পুজো কমিটি, ছট পুজো, রামলীলা কমিটি। পদযাত্রায় উল্লেখজনক মুখ বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, স্বাধী ঋতম্ভরারা। উপস্থিত ছিলেন ইস্কনের প্রতিনিধিরাও। গত অগস্টে বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকে প্রতিবেশী দেশে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার হওয়া সত্ত্বেও কেন আন্তর্জাতিক শিবির চুপ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বাধ্বী ঋতম্ভরা। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের নীরবতাকে আমাদের কাপুরুষতা ভাবা ঠিক নয়।’’
মিছিল বাংলাদেশ হাইকমিশন যাওয়ার চেষ্টা করলে তা অনেক আগেই আটকে দেয় পুলিশ। পরে নাগরিক সমাজের তরফে হাইকমিশনে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। যাতে ১৯৭১ সালে কী ভাবে ভারতের মানুষ এবং সেনা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল সে কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে সে দেশে অত্যাচারের শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু সমাজ। আর ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে উত্তরোত্তর সেই অবস্থার অবনতি হয়েছে। নাগরিক সমাজ তাই স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সে বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy