করোনায় মৃত্যুতে বিমার সুবিধা পেল কত পরিবার? জানাল সংস্থা। প্রতীকী চিত্র।
করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে, এমন ২ লক্ষ ২৫ হাজার ‘ডেথ ক্লেম’-এর নিষ্পত্তি করেছে বিমা সংস্থাগুলি। অতিমারির সময় থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এতগুলি বিমার দাবি নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে বলে জানাচ্ছে ‘ইন্সিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’। বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার বার্ষিক রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে জেনারেল ইন্সিওরেন্স এবং স্বাস্থ্য বিমাকারী, এই দুই তরফই করোনার চিকিৎসার জন্য বিরাট ভাবে উপকৃত হয়েছেন। সব মিলিয়ে করোনার কারণে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বিমার দাবি মিটিয়েছে সংস্থাগুলি।
করোনা কালে মোটামুটি ২৬,৫৪,০০১টি স্বাস্থ্য বিমায় চিকিৎসা সংক্রান্ত দাবি মিটিয়েছে সংস্থাগুলি। তার পরে রয়েছে ‘ডেথ ক্লেম’। সব মিলিয়ে প্রায় ২,২৫,০০০ নমিনি এই সুবিধা পেয়ে গিয়েছেন বলে রিপোর্টে প্রকাশ। এই খাতে বিমা সংস্থাগুলির তরফে নমিনিরা পেয়েছেন প্রায় ১৭,২৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিংহভাগ দাবি নিষ্পত্তি হয়েছে ‘লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানি’ (এলআইসি)-র তরফে। তারা দিয়েছে ৭৯ শতাংশ এবং বাকি ২৬.৭১ শতাংশ দাবি নিষ্পত্তি হয়েছে বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলির তরফে।
রিপোর্টে প্রকাশ, করোনাকালে জীবন বিমার গুরুত্ব যেমন বেড়েছে, তেমনই ওই সময়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ জীবন বিমার জন্য উৎসাহ দেখিয়েছেন। এবং এই একই সময়ে ‘ডেথ ক্লেম’ও শতাংশের বিচারে বেড়েছে। তবে শুধু মৃত্যুই নয়, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন গুরুতর অসুস্থতা, অঙ্গহানি, শারীরিক অক্ষমতার মতো সমস্যাতেও শর্তসাপেক্ষে বিমার ‘কভারেজ’ পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিমা সংস্থা, বয়স, ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস আছে কি না, শারীরিক রোগে ভুগছেন কি না, ইত্যাদির ওপর বিমার প্রিমিয়ামের অঙ্ক নির্ভর করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy