Advertisement
E-Paper

বানভাসি হয়ে ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন ত্রাণশিবিরে, যমুনার জলে ভেসে গেল সেই শিবিরও

বৃহস্পতিবার সেই জলের স্তর চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। আর তাতেই প্লাবিত হয় পুরাতন দিল্লির যমুনা বাজার। জল ঢুকে যায় শিবিরগুলিতে।

delhi

পুরাতন দিল্লির ত্রাণশিবির প্লাবিত। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ১০:৫৯
Share
Save

যমুনার জলে ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার হাজারো পরিবারের ঠাঁই হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাঁরা উঠেছিলেন ওই শিবিরগুলিতে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। আগেই ভিটেছাড়া করেছে যমুনা, এ বার ত্রাণ শিবিরগুলিতে যমুনার জল ঢুকে যাওয়ায় সেই নিরাপদ আশ্রয়ও হাতছাড়া হয়ে গেল অসহায় পরিবারগুলির।

যমুনার তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে পুরাতন দিল্লির যমুনা বাজারে সরকারের তৈরি অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল হাজার পরিবারকে। অপেক্ষাকৃত উঁচু ওই জায়গা নিরাপদ ভেবে ত্রাণ শিবিরগুলি তৈরি করা হয়েছিল। ২,৭০০টি অস্থায়ী শিবির বানানো হয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওই শিবিরগুলিতে ২৭ হাজার মানুষকে ঠাঁই দেওয়া হয়। একে অল্প পরিসরে গাদাগাদি করে মাথা গোঁজায় ঠাঁই হয়েছিল, তা-ও নিরাপদ রইল না যমুনার জলস্তর বাড়ায়।

বৃহস্পতিবার সেই জলের স্তর চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। আর তাতেই প্লাবিত হয় পুরাতন দিল্লির যমুনা বাজার। জল ঢুকে যায় শিবিরগুলিতে। ফলে শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই নেওয়া এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শিবিরগুলির পরিস্থিতি দেখলে শিউরে উঠতে হবে। এক জায়গায় বহু মানুষ গাদাগাদি করে থাকছেন। ঠিক মতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না, পানীয় জল নেই। সব মিলিয়ে খুব খারাপ পরিস্থিতিতেই দিন কাটছে। কিন্তু যমুনার জল ত্রাণ শিবিরে ঢুকে যাওয়ায়, আবারও আশ্রয়হীন হতে হল তাঁদের।

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল জানিয়েছেন, যমুনার জল ধীরে ধীরে কমছে। পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। তবে এখনও বন্যার আশঙ্কা কাটেনি।

flood Delhi

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}