প্রতীকী ছবি।
কোভিডে চাকরি খোয়ানো বহু জন এখনও কাজের খোঁজে হন্যে। কাজের সুযোগ বাড়ন্ত চাকরির বাজারে প্রথম পা-রাখাদের জন্যও। তা সত্ত্বেও উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ৬ শতাংশেরও নীচে নেমে এল বেকারত্বের হার! বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পেটের দায়ে যোগ্যতার তুলনায় অনেক কম বেতন ও দক্ষতার কাজ করতে বাধ্য হওয়াই এর মূল কারণ।
আলোচ্য সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ৫.৪৫%। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬.৮৯%। দেখা যাচ্ছে, এই দু’সপ্তাহের মধ্যে শহরে বেকারত্বের হার ৬.৬১% থেকে বেড়ে হয়েছে ৭.০৫%। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেকারত্বের ধাক্কা কম মনে হচ্ছে, গ্রামে ওই হার ৭.০১% থেকে এক ধাক্কায় ৪.৭ শতাংশে নেমে যাওয়ায়।
এর আগে সিএমআইই-র পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছিল যে, গত কয়েক মাসে ‘উপযুক্ত’ কাজ না-পেয়ে আপাতত কাজের বাজার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন প্রায় ২ কোটি জন। কিন্তু যাঁদের সেই উপায় নেই, কার্যত যে কোনও কাজে হাত লাগাতেই বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। মূলত তাঁদের কাজ জুটছে গ্রামে ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পে। ফলে খাতায়-কলমে বেকারত্বের হার কমছে। আর তাতে কিছুটা চাপা পড়ে যাচ্ছে কাজের বাজারের বিবর্ণ ছবি।
সংস্থাটির কর্ণধার মহেশ ব্যাসের মতে, ২০১৯-২০ সালে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত সংস্থাগুলিতে কম বেতনের কর্মীদের গড় মজুরি বৃদ্ধির হার ৮.৫%। যা গত চার বছরের তুলনায় কম এবং খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হারের থেকে সামান্য বেশি। করোনার কারণে এপ্রিলের পর থেকে এই হার আরও কম হওয়ার সম্ভাবনা। বাজারে নথিভুক্ত, তুলনায় বড় সংস্থাতেই যদি বেতন ও মজুরির ছবি এমন হয়, অসংগঠিত ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কেমন, তা ধারণা করা কঠিন নয়। আর এই সমস্ত কারণেই বেকারত্বের হার ৬ শতাংশের নীচে নেমে আসাকে এখনই তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy