অমিত শাহ।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম ইনিংসে আগাগোড়া বিরোধীদের দুর্গ হয়ে থাকা রাজ্যসভায় ধস নেমে গিয়েছিল সাম্প্রতিক অধিবেশনে তিন তালাক বিলের সময়েই। আজ বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) সংশোধনী বিলটি পাশ করানোর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেল, রাজ্যসভাও মোদী সরকারেরই দখলে।
আজ বিলটি নিয়ে রাজ্যসভায় দু’বার ভোটাভুটি হয়। প্রথমে একে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রশ্নে। তাতে বিরোধীরা হেরে যাওয়ায় বিলটি পাশ করানোর জন্য। দু’টি ক্ষেত্রেই তৃণমূল, ডিএমকে, বামেরা ছাড়া বিজেপি-র পক্ষেই গেল বিরোধীদের ভোট। সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রশ্নে কংগ্রেস, বিরোধীদের জোটে থাকলেও বিল পাশের প্রশ্নে সরকারের পাশে দাঁড়ালো তারা। কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরমের যুক্তি, ‘‘বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। তাই আমরা এর বিরোধিতা করতে পারি না।’’
সম্প্রতি লোকসভায় এই নিয়ে ভোটাভুটির সময় অবশ্য কংগ্রেস, ডিএমকে ওয়াক আউট করেছিল। কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, তারা এই বিলের বিরুদ্ধে নয়। কংগ্রেস অবশ্যই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে শক্তিশালী করার পক্ষে। কিন্তু আপত্তির জায়গা হল, সংগঠনের পরিবর্তে কোনও ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করায় আইনের অপব্যবহার হওয়ার সুযোগ খুব বেশি।
সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতার প্রশ্নটিকে তুরুপের তাস সে দিনই করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি স্পিকারকে বলেছিলেন, ভোটাভুটি করে দেখা যাক, জঙ্গিদের সঙ্গে কে, আর বিরুদ্ধে কে! সে দিন লোকসভায় আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে সুকৌশলে প্রতিপক্ষ খাড়া করেছিলেন অমিত। ঠিক সে ভাবেই আজ তিনি রাজ্যসভায় নিশানা করেন সমঝোতা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুরের কাছে হেরে যাওয়া দিগ্বিজয় সিংহকে।
তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, তিনি বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পিডিপি, বাম, ডিএমকে ছাড়া আর কেউ সে ভাবে পাশে দাঁড়ায়নি। সিলেক্ট কমিটি সংক্রান্ত ভোটাভুটির সময় কংগ্রেসের ৪৭ জনের মধ্যে ৪১ জন বিরোধী জোটের পক্ষে ভোট দিলেও বিল পাশের সময় সকলেই সমর্থন করেছে সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy