মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানোর নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি এর একটি সমসয়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। রাজনাথ বলেন, “দু’ থেকে আড়াই মাসের মধ্যে এর একটা ফলাফল চাই।”
মঙ্গলবারেই রাজনাথ জানিয়েছিলেন, যে ভাবে মাওবাদীরা জওয়ানদের মেরেছে, এর মূল্য চোকাতেই হবে। সেই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন সিআরপিএফ-কে। ওই দিনের ঘটনায় কোথায় ত্রুটি ছিল সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানান রাজনাথ। মাওবাদীদের কী ভাবে দমন করা যায়, কী ভাবে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে রণকৌশল বদলানো যায়— এ সব নিয়ে মঙ্গলবারেই তিনি বৈঠকে বসেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা কে বিজয় কুমার এবং সিআরপিএফ-এর কার্যনির্বাহী ডিজি সুদীপ লাখাটিয়ার সঙ্গে। পাশাপাশি, মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। রাজনাথ বলেন, “প্রয়োজনে আরও জওয়ান মোতায়েন করুন, প্রযুক্তির সহায়তা নিন, কিন্তু এর একটা হেস্তনেস্ত হোক। এবং সেটা খুব তাড়াতাড়ি।”
আরও পড়ুন: ছুটির আগেই কফিন-বন্দি হয়ে বাড়িতে আশিসরা
কেন বার বার মাওবাদীরা হামলা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে তা-ও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজনাথ। সুকমাতে যখনই মাওবাদী হামলা হয়েছে, প্রচুর জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। তাই রাজনাথ চাইছেন, যে কোনও মূল্যে এর একটা সমাধান করতে।
সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে এবং কী ভাবে হামলা আটকানো যায়, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতে লাখাটিয়া ও বিজয় কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, যত দিন না একটা কড়া সমাধান সূত্র বেরোচ্ছে তত দিন ছত্তীসগঢ়েই ঘাঁটি গেড়ে থাকুন লাখাটিয়া ও বিজয় কুমার। তাঁদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই আগামী ৮ মে-র বৈঠকে মাওবাদী দমন কৌশলের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই মার্চেই কয়েক দিনের ব্যবধানে পর পর দু’টি মাওবাদী হামলায় মোট ৩৬ সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। তবে বড় হামলা চালানো হয় সোমবার। ওই দিন শ’তিনেক মাওবাদী জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। নিহত হন ২৫ জন জওয়ান। আহত হন ৭ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy