তালাকের প্রতিবাদ করে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। অলঙ্করণ- তিয়াসা দাস।
তিন তালাক দিয়েছে স্বামী। সেই তালাকের প্রতিবাদ করতেই শ্বশুর সহ অন্য আত্মীয়দের হাতে গণধর্ষণের শিকার বছর পঁচিশের এক মহিলা। গত ২২ নভেম্বর এ রকমই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের অলওয়ার জেলার চোপানাকি থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে। গত সোমবার সেই ভিয়াদি মহিলা পুলিশ স্টেশনে। যদিও অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তিনদিন কেটে গেলেও এখনও কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
২৫ বছরের ওই অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৫তে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। পরের বছর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তারপর থেকেই পণের জন্য তাঁকে মারধর করত শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
এই গণধর্ষণের ব্যাপারে ভিয়াদির ডিএসপি হরিরাম কুমায়াত বলেছেন, ‘‘অভিযোগকারিণী আমাদের বলেছেন, ২০ নভেম্বর তাঁকে একটি ঘরে আটকে রেখে পণের জন্য মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২২ নভেম্বর বাড়িতে আসে তাঁর স্বামী। এসে মত্ত অবস্থায় থাকা স্বামী তিন তালাক দেয় তাঁকে। সে দিন রাত ১১টা নাগাদ শ্বশুর ও অন্যান্য আত্মীয়রা ঘরে ঢোকে। লাথি মেরে বের করে দেয় তাঁর কন্যা সন্তানকে। তার পর গণধর্ষণ করে তাঁকে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পরের দিন কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়ে যান। বাবার কাছে গোটা ঘটনা বলেন। তার পর ২২ নভেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ইসরোকে উৎসর্গ করা হল মুম্বইয়ের ‘চাঁদ’!
আরও পড়ুন: কিলো ১০০ টাকা! দাম শুনে সব্জিবিক্রেতাকে পিটিয়ে মারল দুই ব্যক্তি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy