সাংবাদিক আমন চোপড়া।
বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বৈরিতায় ইন্ধন দেওয়া এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে টিভি সাংবাদিক আমন চোপড়াকে গ্রেফতার করতে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় গিয়েছে রাজস্থান পুলিশের একটি দল। রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের এসপি সুধীর জোশী জানিয়েছেন, নয়ডায় ঘাঁটি গেড়ে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে তাঁদের দলটি। আমনের বাড়িতে গিয়েও তাঁর খোঁজ মেলেনি। বাড়ি তালাবন্ধ।
গত ২২ এপ্রিল তাঁর চ্যানেলের শোয়ে আমন বলেছিলেন, ‘‘বিষয়টি কাকতালীয় যে, দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে বুলডোজ়ার চালিয়ে একটি মসজিদের প্রবেশদ্বার ভেঙে দেওয়ার দু’দিন পরেই রাজস্থানের অলওয়ার জেলায় তিনটি মন্দির ভেঙে ফেলা হল। একটি মন্দির তিনশো বছরের পুরনো। এই সব ঘটনা শুধুই কাকতালীয়, না কি তাদের মধ্যে যোগ রয়েছে? এ কি জহাঙ্গিরপুরীর প্রতিশোধ?’’ রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের নজরদারিতেই ওই মন্দিরগুলি ভাঙা হয় বলে দাবি করা হয় শোয়ে। তার পরের দিনই রাজস্থানের বুঁদি, অলওয়ার ও দুঙ্গারপুর জেলায় আমনের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বৈরিতা ছড়ানো সংক্রান্ত ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বুঁদি এবং অলওয়ারের দু’টি এফআইআরের ক্ষেত্রে আমনের গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে রাজস্থান হাই কোর্ট। পুলিশের বক্তব্য, দুঙ্গারপুরের এফআইআরের বিষয়ে হাই কোর্ট কিছু বলেনি। সেখানকার স্থানীয় আদালত আমনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করতে নয়ডায় গিয়েছে রাজস্থান পুলিশের টিম। দিন দুয়েক আগেই দিল্লির বিজেপি নেতা তাজিন্দর সিংহ বাগ্গাকে পঞ্জাব পুলিশের গ্রেফতার করা নিয়ে বিস্তর নাটক হয়েছে। নয়ডা পুলিশের কাছ থেকে কি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছে রাজস্থান পুলিশ? প্রশ্নের উত্তরে দুঙ্গারপুরের এসপি জোশী বলেন, ‘‘আমাদের টিমকে আটকানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এগোনোর বদলে আগে স্থানীয় থানায় যেতে। একে পূর্ণ সহযোগিতা বলা যায় না। মামলা সম্পর্কিত সবিস্তার তথ্য নয়ডা পুলিশকে ইতিমধ্যেই জানানো আছে। এই নিয়ে পুলিশ দ্বিতীয় বার তাঁকে গ্রেফতার করতে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy