—প্রতীকী চিত্র।
মাঙ্কি পক্স (এম পক্স) ঘিরে উদ্বেগের মাঝেই এ বার ‘কঙ্গো ফিভার’-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজস্থানের এক মহিলার। বুধবার যোধপুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরই রাজস্থান সরকারের তরফে রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে পরামর্শাবলী জারি করা হয়েছে। ওই রোগীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় একটি র্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিতেই যোধপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য অধিকর্তা চিকিৎসক রবিপ্রকাশ মাথুর। কারও শরীরে উপসর্গ দেখা গেলে বা সন্দেহজনক কিছু ঠাওর হলে দ্রুত তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কঙ্গো ভাইরাস হল পশুবাহিত ভাইরাসজনিত একটি রোগ। এঁটুলির মতো এক ধরনের পোকা এবং গবাদি পশুর থেকে এই রোগ ছড়ায়। মূলত পোকার কামড় থেকে এই রোগ সংক্রমিত হয় গবাদি পশুর শরীরে। তার পর সেখান থেকে মানবদেহে সংক্রমণ ছড়ায়। ১৯৪৪ সালে এই রোগের সংক্রমণ প্রথম দেখা গিয়েছিল ক্রিমিয়ায়। পরে ১৯৬৯ সালে কঙ্গোতেও এই সংক্রমণ ধরা পড়ে। মূলত পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি।
রাজস্থানের পশুপালন দফতর থেকে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। কোনও রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে, দ্রুত সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকে। উপসর্গযুক্ত রোগীর বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরকেও জানাতে বলা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর তথ্য অনুযায়ী ‘কঙ্গো ফিভার’-এর একাধিক উপসর্গ রয়েছে। যেমন জ্বর, পেশিতে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরানো, চোখে ব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া ইত্যাদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy