সমর্থনের হাত। পশ্চিম গোয়ালপাড়ায় রাহুল গাঁধীর সভায় কংগ্রেস অনুগামীরা। সোমবার। ছবি: উজ্জ্বল দেব
হলফনামার সঙ্গে উপজাতি হওয়ার মিথ্যা শংসাপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়ো নথি ও ফৌজদারি মামলার কথা উল্লেখ না করার অভিযোগে দক্ষিণ অভয়াপুরী কেন্দ্রের বিধায়ক চন্দন সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছিলেন নির্দল প্রার্থী নির্মলেন্দু বাণিক্য। অসমের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী চন্দনবাবুর হয়েই আজ অভয়াপুরীতে জনসভা করলেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী।
এ দিন তাঁর সভা ছিল ধুবুরি, বরপেটা, গোয়ালপাড়া ও চেঙাতেও। ঘটনাক্রমে ওই সব কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোক স্বার্থে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিয়ে জনবিন্যাসে বদল এনেছে কংগ্রেস, এআইইউডিএফ। কিন্তু বক্তৃতায় সে সব প্রসঙ্গ এড়িয় গেলেন রাহুল। তবে ধুবুরিতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ মন্তব্য করেন— ‘‘বিজেপি এখানে এক জনও বাংলাদেশি দেখাক। আমি মেনে নেব ধুবুরি বাংলাদেশিতে ভরে গিয়েছে।’’
ধুবুরির গৌরীপুর ডুমুরদহতে রাহুলের সভায় সাতটি কেন্দ্রের ৬ জন কংগ্রেস প্রার্থী হাজির ছিলেন। রাহুল প্রথমেই দর্শকদের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরাতে বলে জানান, এটাই কংগ্রেসের সংস্কৃতি। তাঁরা মানুষের সঙ্গে দুরত্ব রাখতে চায় না।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘ নরেন্দ্র মোদী দুর্নীতি নিয়ে এত কথা বলছেন। কিন্তু তাঁর মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিজয় মাল্য, ললিত মোদীরা।’’ রাহুলের দাবি, আরএসএস গোটা দেশে একটাই মত চাপিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু অসমের মতো বিভিন্ন ধর্ম-ভাষা-সংস্কৃতির রাজ্যে তা বিপজ্জনক। বিজেপি ভোটে জিতলেই নাগপুর আর দিল্লি থেকে রিমোটে রাজ্য চালানো হবে। দিল্লিতে উত্তর-পূর্বের ছাত্রছাত্রীদের উপরে হেনস্থার প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, ‘‘কংগ্রেস জিতলে রাজ্যের সব প্রান্তের মানুষ নিশ্চিন্তে রাজ্যে বা দিল্লিতে নিজের ভাষায় কথা বলতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy