ভারত জোড়ো যাত্রার ১৫তম দিনে রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার কেরলের এর্নাকুলমে। পিটিআই
পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতাদের বড় অংশ কংগ্রেসের হাত ধরেই চলতে চান। কিন্তু আজ কেরলে বসে রাহুল গান্ধী বললেন, বামফ্রন্টের সঙ্গে তাঁর ‘মতাদর্শগত প্রভেদ’ রয়েছে। বামেরা যে ভাবে কেরলে ও দেশের রাজনীতিকে দেখেন, তা নিয়েও তাঁর ভিন্নমত রয়েছে বলে রাহুল মন্তব্য করেছেন।
কন্যাকুমারী থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা তামিলনাড়ু থেকে কেরলে ঢোকার পরেই সিপিএম-সহ বাম নেতারা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। কেন ভারত জোড়ো যাত্রা উত্তরপ্রদেশে মাত্র দু’দিন, কেরলে ২২ দিন ধরে চলছে, তা নিয়েও সিপিএমের সরকারি টুইটার হ্যান্ডল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
গত দু’সপ্তাহে প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার পথ পেরনোর পরে আজ কেরলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল দাবি করেছেন, বাম কর্মীরাও এসে তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তাঁরাও ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সময়ে রাস্তার দু’পাশে জড়ো হয়েছেন। কারণ তাঁরাও কংগ্রেসের এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করছেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই গোয়ায় কংগ্রেসের ভাঙন নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের ওয়েনাড়ে গিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে জিতে আসা নিয়েও বাম নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। আজ রাহুল বলেন, “রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাঝে প্রবীণ বাম নেতাদের পক্ষে আমাদের খোলাখুলি সমর্থন করা মুশকিল। সেটা বুঝি। কিন্তু ওঁদের মন থেকে ওঁরা জানেন, আমরা যে ভারতে বিভাজন নীতি, বিদ্বেষের প্রশ্ন তুলছি, সেগুলো সঠিক প্রশ্ন।” বিরোধী জোটের পক্ষে তিনি সওয়ালও করেন।
সিপিএম সূত্রের খবর, রাহুলের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা নিয়ে সিপিএমের অন্দরেও মতভেদ তৈরি হয়েছে। সিপিএমের টুইটার হ্যান্ডল থেকে যে ভাবে রাহুলের কার্টুন-সহ যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছিল, তাতে সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সায় ছিল না। কিন্তু ইয়েচুরি জানার আগেই কেরলের নেতাদের চাপে প্রকাশ কারাটের অনুমোদন নিয়ে তা টুইট করে দেওয়া হয়। ইয়েচুরির শিবিরের মত, বিরোধী জোট ঐক্যবদ্ধ করতে হলে কংগ্রেসের সঙ্গে বচসায় গিয়ে লাভ নেই।
রাহুলও আজ বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল করে কেরলে বাম সরকারের কাজকর্ম নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। বলেছেন, কেরলের কংগ্রেস নেতারাই এ কাজ ভাল পারবেন। তবে তাঁর মন্তব্য, “বামফ্রন্টের সঙ্গে আমার মতাদর্শগত প্রভেদ রয়েছে। যে ভাবে তাঁরা রাজনীতি ও কেরলকে দেখেন, তা নিয়ে আমার সমস্যা রয়েছে।” কেরলে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেয়েছে বলেও দাবি করেছেন রাহুল।
প্রশ্ন উঠেছে, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটকের পর বিজেপি শাসিত হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা কতটা সাড়া ফেলবে? রাহুলের জবাব, “আমার আশা, প্রতিটি রাজ্যেই যাত্রার একই প্রভাব দেখা যাবে। তা সে যে দলই রাজ্যের ক্ষমতায় থাকুক না কেন। কারণ ভারতের গরিব মানুষ বিভাজন, বিদ্বেষ, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির জেরে যন্ত্রণায় ভুগছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy