রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর থেকে টুইটে ঢের বেশি সাড়া ফেলছেন রাহুল গাঁধী।
মোদী টুইট শুরু করেছেন প্রায় এক দশক আগে। সে তুলনায় রাহুলের টুইট-বয়স মাত্র তিন বছর। টুইটে ফলোয়ারের নিরিখে মোদীর ধারেকাছে নেই রাহুল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় দেশ-বিদেশ মিলিয়ে মোদীর টুইটারে ফলোয়ারের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে ৪ কোটির বেশি। সে জায়গায় রাহুল পেরিয়েছেন ৭০ লক্ষের কোঠা। কিন্তু রাহুল ইদানীং যা টুইট করছেন, তাতে মোদীর থেকে ঢের বেশি সাড়া মিলছে।
১১ জুলাইয়ের হিসেবে টুইটারের নতুন পরিসংখ্যানই বলছে, গত এক মাসে রাহুল গাঁধী টুইট করেছেন ৩৬টি। আর মোদী করেছেন ২৬৪টি। কিন্তু গড়পরতায় মোদীর টুইটে ‘লাইক’ এসেছে ১১ হাজারের মতো, আর রাহুলের প্রায় ১৯ হাজার। মোদীর টুইট গড়ে ‘রি-টুইট’ হয়েছে আড়াই হাজারের মতো, আর রাহুলের সাড়ে ৬ হাজার। অর্থাৎ, রাহুলের থেকে মোদী অনেক বেশি টুইট করলেও সোশ্যাল দুনিয়ায় প্রভাব এখন বেশি কংগ্রেস সভাপতিরই।
গত লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াকেও রণভূমি বানিয়েছিলেন মোদী। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান দিব্যা স্পন্দনা প্রকাশ্যেই কবুল করেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করা কংগ্রেস যখন শুরু করেছে, তখন বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।’’ কিন্তু এখন ইঙ্গিত, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধে ক্রমশই এগোচ্ছে কংগ্রেস। তা বুঝেই অমিত শাহ এখন বিভিন্ন রাজ্যে দলের সোশ্যাল মিডিয়ার ভিতকে শক্ত করতে চাইছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত কংগ্রেসের এক সদস্য বলছেন, মোদীর জনপ্রিয়তা এখন সব ক্ষেত্রেই কমছে। তার উপরে সম্প্রতি টুইটার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে।
এতদিন এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেই ‘লাইক’, ‘রি-টুইট’ করে মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে-চড়িয়ে দেখানো হত। আর এখন টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা শুরু করতেই মোদীর ‘নকল’ জনপ্রিয়তাতেও ভাটা পড়ছে।
বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া টিমের এক সদস্যের পাল্টা দাবি, টুইটারের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদীর ‘ফলোয়ার’দের মধ্যে ভুয়ো মাত্র ২৩ শতাংশ। আর রাহুলের ক্ষেত্রে তা ৩৬ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy