—ফাইল চিত্র।
ভোট ক্রমশ এগিয়ে আসছে। কিন্তু পঞ্জাবে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ইতি পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। এ বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিংহের বিরুদ্ধে সনিয়া গাঁধীর কাছে নালিশ ঠুকলেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। অমরেন্দ্র জানিয়েছেন, লাগাতার তাঁকে কথার হুল ফুটিয়ে চলেছেন সিধু। তাতে সরকার চালানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব সিধুকে নিয়ে একটা বিহিত করতে হবে বলে সনিয়াকে জানান অমরেন্দ্র। কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে তাঁকে সকলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনের বছর নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ কলহ মিটিয়ে ফেলাই লক্ষ্য দলের। অমরেন্দ্রকে সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সনিয়া। সিধুকে সঙ্গে নিয়েই তাঁকে চলতে হবে। পঞ্জাব যাতে হাতছাড়া না হয়, তার জন্য অমরেন্দ্রর সরকার এবং প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়া থাকা অত্যন্ত দরকার। শুধু তাই নয়, পঞ্জাবে অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে আগামী দিনে সরকারে রদবদলও ঘটানো নিয়েও অমরেন্দ্রর সঙ্গে সনিয়া দীর্ঘ আলোচনা করেছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
বিজেপি ছেড়ে ২০১৭ সালে সিধু কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একাধিক বিষয়ে অমরেন্দ্রর সঙ্গে ঝামেলে বেধেছে তাঁর। প্রথমে অমরেন্দ্রর সরকারে মন্ত্রী ছিলেন সিধু। কিন্তু তাঁর দফতরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী না করাতেও অমরেন্দ্রের উপর চটেছিলেন সিধু। গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় অমরেন্দ্রকে আক্রমণ করে আসছিলেন তিনি। তাতে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসিয়ে তাঁর সঙ্গে অমরেন্দ্রর সমঝোতা করিয়ে দেন তাঁরা।
কিন্তু পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর একমাসও কাটেনি, ফের অমরেন্দ্রর বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দিতে শুরু করেছেন সিধু। ২০১৮-র মাদক পাচারকাণ্ডে অকালি দলের নেতা বিক্রম মজিথিয়ার বিরুদ্দে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, তা নিয়ে সোমবার নতুন করে অমরেন্দ্রকে আক্রমণ করেন সিধু। রাজ্য সরকার মাদকচক্রের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সিধুর সেই মন্তব্যের পরই মঙ্গলবার সনিয়ার কাছে সিধুকে নিয়ে নালিশ জানান অমরেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy