Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডে বদলের ইঙ্গিত

ক্ষমতায় কে আসছে, কংগ্রেস না আপ— তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু যা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই— তা হল, পঞ্জাবে এ বার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে অকালি-বিজেপি জোট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩৬
Share: Save:

ক্ষমতায় কে আসছে, কংগ্রেস না আপ— তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু যা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই— তা হল, পঞ্জাবে এ বার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে অকালি-বিজেপি জোট।

বুথ ফেরত সমীক্ষায় পঞ্জাবে এ বার পালাবদলেরই ইঙ্গিত। শেষ হচ্ছে শিরোমণি অকালি দল ও বিজেপি জোটের দশ বছরের রাজত্ব। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস না অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি, কে গড়বে সরকার। কয়েকটি বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ১১৭ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কেউ আবার আপ-কে এগিয়ে রেখেছে।

পঞ্জাবের প্রকাশ সিংহ বাদল দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে প্রবীণতম। কিন্তু বাদল পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এত অভিযোগ যে অনেকের মতে, প্রকাশ সিংহ ও তাঁর ছেলে সুখবীর সরকার নয়, পারিবারিক ব্যবসাই চালিয়েছেন। পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের নেতৃত্বে দল রাজ্যে জোরালো লড়াই করেছে। নভজ্যোত সিংহ সিধু কংগ্রেসে যাওয়ায় ফায়দা হয়েছে। অমরেন্দ্র জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের শেষ যুদ্ধ। বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখে তিনি তৃপ্ত। উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বলেন, ফল বের হলে সব সমীক্ষা ভুল প্রমাণিত হবে।

বুথ ফেরত সমীক্ষা সব সময় সঠিক হয়, এমন নয়। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবে আমজনতার ভোটদানের প্রবণতারও একটা হদিস মেলে। পাঁচ রাজ্যের সমীক্ষা অনুযায়ী, পঞ্জাবের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডেও পালাবদল ঘটছে। পাহাড়ি রাজ্যে এত দিন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। অধিকাংশ সমীক্ষার ভবিষ্যৎবাণী, বিজেপিই সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।

গোয়াতে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের রাজ্যে কংগ্রেসের পাশাপাশি কেজরীর দলও ক্ষমতা দখলে ঝাঁপিয়েছিল। বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কংগ্রেস ও আপ হাত মেলালে বিজেপির ফের ক্ষমতায় আসা আটকে যেতে পারে।

আরও পড়ুন:উত্তরপ্রদেশে এগিয়ে বিজেপি, সাট্টা বাজারে জয়ের খবরেই শুরু উল্লাস

উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরে ১৫ বছর ধরে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহকে সামনে রেখে ভোটে যায় কংগ্রেস। ইবোবির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জঙ্গি কাজ রুখতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে মাঠে নেমেছিল বিজেপি। অনশন ভেঙে রাজনীতিতে নামা ইরম শর্মিলা চানুও ইবোবির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সমীক্ষায় ইঙ্গিত, মণিপুরে সরকার গড়তে ছোট দল বা নির্দল বিধায়করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE