মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার স্বামী, শ্বশুর এবং তান্ত্রিক-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। প্রতীকী ছবি।
সন্তানের জন্ম দিতেই হবে। তাই গর্ভধারণের জন্য মানুষের হাড়ের গুঁড়ো খেতে বাধ্য করা হল মহিলাকে! মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, স্থানীয় তান্ত্রিকের পরামর্শে ওই মহিলার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা অমাবস্যার রাতগুলিতে তাঁকে বার বার অস্থিচূর্ণ খেতে বাধ্য করেছেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ বুধবার স্বামী, শ্বশুর এবং তান্ত্রিক-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পুণে সিটি পুলিশের ডিসিপি সুহেল শর্মা বলেছেন, ‘‘কালো জাদুবিদ্যা নিয়ে চর্চা করার জন্য এবং অমানবিক ব্যবহারের জন্য ৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করেছে।’’ মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও তন্ত্রচর্চায় বিশ্বাসী বলে তিনি জানান।
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলা আরও অনেকগুলি বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহিলার অভিযোগ, ২০১৯ সালে তাঁর বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা যৌতুক হিসাবে নগদ টাকা, সোনা এবং রুপোর গয়নার দাবি করেছিলেন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
অমাবস্যার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এক তান্ত্রিকের পরামর্শে তাঁকে জোর করে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে মানুষের হাড়ের গুঁড়ো খেতে বাধ্য করেন বলেও মহিলার অভিযোগ।
অভিযোগকারিণী জানান, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের পরামর্শে তাঁকে মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ অঞ্চলের একটি অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে একটি জলপ্রপাতের নীচে কালো জাদুবিদ্যা করে অস্থিচূর্ণ খাওয়ানো হয়। সেই সময় ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ওই তান্ত্রিক শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের পুরো প্রক্রিয়ার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ।
ডিসিপি শর্মা জানান, খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy