মঙ্গলবার পুলওয়ামা হামলার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। ছবি: সংগৃহীত।
পুলওয়ামা হামলার আগে ও পরে উপত্যকায় সক্রিয় জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি ও তাদের পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের মধ্যে কথোপকথনের অন্তত ৩৫০টি ভয়েস মেসেজ পাওয়া গিয়েছে বলে ওই মামলায় চার্জশিটে জানিয়েছে এনআইএ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তার মধ্যে কয়েকটি ভয়েস চ্যাটে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে প্রচারের ভিডিয়ো তৈরি ও পাকিস্তানের বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের পরে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের গতিবিধির কথাও রয়েছে। মঙ্গলবার পুলওয়ামা হামলার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। তাতে জইশ জঙ্গি ও তাদের হ্যান্ডলারদের মধ্যে কথোপকথনের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট ও তথ্য দিয়েছেন গোয়েন্দারা।
চার্জশিট অনুযায়ী, একটি ভয়েস চ্যাটে জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাগ্নে মহম্মদ উমর ফারুক মাসুদের ভাই রউফ আসগর ও আম্মার আলভিকে পাকিস্তানের ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে বলেছিল। পাকিস্তানের অ্যালায়েড ব্যাঙ্ক ও মিজ়ান ব্যাঙ্কে উমর ফারুকের নামে ১০ লক্ষ টাকা জমা করা হয়। পরে সেই টাকা বেআইনি পথে কাশ্মীরে আনা হয়। এনআইএ জানিয়েছে, অন্য একটি ভয়েস মেসেজ থেকে জানা যাচ্ছে ওই টাকার মধ্যে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ করা হয় দুটি আইইডি বিস্ফোরক তৈরি করতে। পরে সেই বিস্ফোরকই একটি মারুতি ইকো গাড়িতে বসিয়ে সিআরপিএফের কনভয়ের উপরে হামলা চালায় পুলওয়ামার বাসিন্দা আদিল আহমেদ দার।
অন্য একটি চ্যাটে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পরে উমর ফারুকের কাছে কাশ্মীরে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের গতিবিধির কথা জানতে চায় রউফ আসগর। পুলওয়ামায় নিহত ভারতীয় জওয়ানদের দেহের ছবি ও আদিল দারকে নিয়ে প্রচারের ভিডিয়ো তৈরির কথাও আলোচনা করেছিল জঙ্গিরা। এনআইএ জানিয়েছে, বালাকোটের পরে জইশ নেতাদের কার্যকলাপ বন্ধ রাখতে বলা হয়। তাই ওই ভিডিয়ো তৈরি করা হয়নি।ভারতীয় বিমান আইসি-৮১৪-এর অপহরণে যুক্ত জঙ্গি ইব্রাহিম আতহারের ছেলে উমর ফারুক পুলওয়ামা হামলার এক মাস পরে কাশ্মীরে সংঘর্ষে নিহত হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা একটি মোবাইলে প্রচুর তথ্য ছিল বলে জানিয়েছে এনআইএ।
আরও পড়ুন: পিছু হটতে হবে চিনা সেনাকেও, বলল দিল্লি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy