গত দু’দিনের মতো আজও পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ দেখালেন শ’দেড়েক ছাত্রছাত্রী। গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহানকে বসানো নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এফটিটিআই)-এর ছাত্র সংগঠনের বক্তব্য, বিজেপির প্রতি আনুগত্যের জন্যই অযোগ্য গজেন্দ্রকে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা।
আজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে গজেন্দ্রর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন ছাত্রছাত্রীরা। বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ সিরিয়ালে যুধিষ্ঠিরের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন গজেন্দ্র। কিন্তু তার পর আর কোনও উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায়নি তাঁকে। ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংগঠনের বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতের পুতুলকে আমরা চাই না।’’ সংগঠনের নেতা হরিশঙ্কর নাচিপুথুর বলেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানে মর্যাদা বাড়ানোর পরিবর্তে সরকার অযোগ্য ব্যক্তিকে বড় দায়িত্ব দিচ্ছে। এটা দুঃখের বিষয়।’’ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক যাতে বিষয়টি নিয়ে আরও এক বার ভাবে, তার জন্য সরকারের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন হরিশঙ্কর। আজ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন দুই নামকরা মরাঠি চিত্রপরিচালক আনন্দ পটবর্ধন এবং উমেশ কুলকার্নি। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি, প্রতিষ্ঠানের একদা চেয়ারম্যান শ্যাম বেনেগাল। সাংবাদিকদের তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘বিষয়টা ঠিক ভাল করে জানি না। পড়ুয়ারা কীসের বিরোধিতা করছেন, তা-ও ঠিক জানি না।’’
তবে বিতর্কের মধ্যে আজ মুখ খুলেছেন গজেন্দ্র নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চান। গজেন্দ্রের কথায়, ‘‘আমার মনে হয় যোগ্যতা আছে বলেই এই পদের জন্য আমাকে বাছা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy