—প্রতীকী ছবি।
আর জি কর কাণ্ড এবং সেই সূত্রে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে হুমকি-প্রথা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আঁচ পড়েছে অন্যান্য রাজ্যেও। এ বার ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের ১৮ জন পড়ুয়াকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার এবং আর্থিক জরিমানা করা হল। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। আগরতলার এই মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা তাঁদের সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে এক অভিভাবক দিল্লিতে অভিযোগ জানান। তার পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অরিন্দম দত্ত বলেন, ‘‘গত ২০ অক্টোবর দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর অ্যান্টি র্যাগিং বিভাগ থেকে ফোনে আমাদের জানানো হয়, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে র্যাগিং হচ্ছে। পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফেও একই অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, কলেজের জনজাতি পড়ুয়ারা প্রথম বর্ষের জনজাতি পড়ুয়াদের র্যাগিং করেছে। কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক রঞ্জীব ঘোষের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি অভিযুক্ত পড়ুয়াদের এবং র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে। সেখানে পড়ুয়ারা র্যাগিং করেছে বলে
স্বীকার করে।’’
অধ্যক্ষ জানান, মেডিক্যাল কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করে থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। ২৫ অক্টোবর আমতলি থানায় আঠারো জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের এক বছরের জন্য হস্টেল থেকে বহিষ্কার এবং প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েক জনের বিরুদ্ধে আগেও র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের অতিরিক্ত পঁচিশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ইউজিসি এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের দেওয়া সময়সীমা মেনে এর পরের দিনই অর্থাৎ ২৬ অক্টোবর তাদের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত এসপি চিরঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এক জন অভিভাবক ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের উপরে র্যাগিং হচ্ছে বলে জানিয়ে দিল্লিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এর ভিত্তিতে কলেজের অধ্যক্ষ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়ে আমতলি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে ত্রিপুরা এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (প্রিভেনশন অব র্যাগিং) অ্যাক্ট, ১৯৯০ অনুযায়ী মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।’’
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কারও ভবিষ্যৎ নষ্ট হোক, সেটাও আমরা চাই না। কেন্দ্রীয় সরকার র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইন এনেছে এবং নজরদারি করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy