ছবি সংগৃহীত
ভারত-চিন সংঘাতের সময় সামনে চলে এসেছিল প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ও মায়াবতীর দ্বৈরথ। এ বার রাজস্থানের সরকার ভাঙাগড়ার নাটকে স্পষ্ট, বিএসপি নেত্রীর মূল নিশানায় রয়েছে কংগ্রেসই। বিএসপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছয় জন বিধায়ককে কেন্দ্র করে আজ দুই নেত্রী পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন। মায়াবতীকে ‘বিজেপি-র অঘোষিত মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। আর বিএসপি নেত্রীর কথায়, ‘‘আমরা কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে চাই। নিজেদের পাপ লুকোতে ওরা আমাদের বিজেপির পুতুল বলছে।’’
রাজস্থান নিয়ে চাপানউতোর চললেও মায়াবতীর এই উগ্র কংগ্রেস-বিরোধিতার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করছে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক শিবির। অনেকেরই মতে, সিবিআই মায়াবতীর পরিবারের বিরুদ্ধে একটি পুরনো মামলাকে জাগিয়ে তোলার পর থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না তাঁর দল। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলের নেতাদের অভিযোগ, মায়াবতী কিছু ক্ষেত্রে পরোক্ষে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি, জাতপাতের সমীকরণও রয়েছে এর পিছনে। মায়াবতী ঘনিষ্ঠ শিবিরে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ ভোটব্যাঙ্ককে টানতে কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়া প্রয়োজন। ঠাকুর সম্প্রদায় থেকে আসা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জমানায় ব্রাহ্মণদের অভিযোগ বেড়েছে। তাঁদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের মতে, মায়াবতী মনে করছেন, প্রিয়ঙ্কা সক্রিয় থাকায় এই পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণ ভোট কংগ্রেস শিবিরে ফেরার সম্ভাবনা থাকবে। সেটাই আটকাতে চান বিএসপি নেত্রী। তবে অনেকেই মনে করছেন, ব্রাহ্মণেরা মায়াবতী শিবিরে যাওয়ার আগে তিন বার ভাববে। কারণ, বিএসপির মূল শক্তি দলিত। সংসদের দুই কক্ষে ব্রাহ্মণ নেতা বেছেছেন মায়াবতী। কিন্তু বিএসপি-র দিকে ব্রাহ্মণদের ঝোঁকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
রাজস্থানে বিএসপির যে ছ’জন বিধায়ক সনিয়া গাঁধীর দলে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের হুইপ জারি করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য বলেছেন মায়াবতী। তিনি আজ বলেন, “কংগ্রেস বলছে ওদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা হাস্যকর। কারণ, ওরাই বিএসপির সঙ্গে এমন আচরণ করেছিল। উল্টা চোর কোতোয়াল কো ডাঁটে।” মায়াবতীর মন্তব্য, “বিএসপি আগেই আদালতে যেতে পারত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সময় খুঁজছিলাম আমরা। এ বার আদালতে যাব। দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টেও।’’ আর টুইটারে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘‘বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র তাদের সাহায্য নিয়ে হুইপ জারি করেছেন। যারা গণতন্ত্র ও সংবিধানকে হত্যা করছে, এটা তাদের প্রতি ছাড়পত্র।’’
বিএসপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগদানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিজেপি নেতা মদন দিলাওয়ার। যদিও বিধায়কদের নিয়ে এই চাপানউতোরের সঙ্গে বিজেপির প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই। তবে ওই আবেদনের সঙ্গে তাদেরও জোড়ার জন্য কোর্টে আর্জি জানিয়েছে বিএসপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy