উত্তরপ্রদেশের সিরসাগঞ্জে এক জনসভায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। বুধবার। পিটিআই।
খোদ কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় চোর সন্দেহে দলিত কিশোরীকে মেঝেয় চেপে ধরে রেখে চলছে বেপরোয়া মারধর। উত্তরপ্রদেশের অমেঠীর ওই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা বুধবার হুঁশিয়ারি দেন, অভিযুক্তদের সবাইকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে আন্দোলনে নামবেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত এক জনকে ধরা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বছর ষোলোর ওই কিশোরীকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে রেখেছে দুই যুবক। আর এক যুবক লাঠি দিয়ে নির্বিচারে গোড়ালিতে মেরে চলেছে।
কিশোরী যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। কিন্তু তাদের আক্রোশের নিবৃত্তি হচ্ছে না। লাঠি হাতে যুবকটি মেয়েটির চুলের মুঠি ধরে মেঝেয় ঘষটে টেনে আনে। খুব জোরে, বেপরোয়া ভাবে তার মাথা ঝাঁকিয়ে চলে। আশপাশ থেকে জনা তিনেক মহিলা মেয়েটিকে ‘সত্য’ বলে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে চলেছিলেন। ওই কিশোরীর পা মারের চোটে ভেঙে গিয়েছে, দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটি অমেঠীর সংগ্রামপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের। মারধরের ঘটনাটি রায়পুর ফুলওয়াড়ি শহরের। অভিযুক্ত যুবকদের এক জনের মোবাইল চুরি হয়েছিল। তাতে মেয়েটিকে সন্দেহ করে তারা। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে মারধরের ঘটনা চাউর হতে নিগৃহীতার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। মেয়েটির বাবা তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অমেঠী পুলিশের টুইট করা বিবৃতিতে ডিএসপি অর্পিত কপূর জানিয়েছেন, ঘটনায় শিশুদের উপরে যৌন অত্যাচার প্রতিরোধের আইন পকসো এবং তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষজনের উপরে অত্যাচার ঠেকানোর আইনে মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে নমন সোনি নামে এক জনকে। বাকি দুই অভিযুক্তকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতেই রাহুল গাঁধীকে পরাজিত করে সংসদে গিয়েছেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। মাস কয়েকের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে এই ঘটনার আঁচ ছড়িয়েছে রাজনীতির হাওয়ায়।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যে তফসিলি জাতি ও জনজাতির উপরে অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয় ৩৪টি করে। মহিলাদের উপরে অপরাধ হয় দৈনিক গড়ে ১৩৫টি। তিনি লিখেছেন, ‘‘এত কিছুর পরেও আপনার আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঘুমিয়ে রয়েছে। যারা এই অমানবিক কাজ করেছে, তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরা না হলে কংগ্রেস প্রবল আন্দোলন করে আপনাদের জাগিয়ে তোলার কাজটা করবে।’’
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি দলিত নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে। ১২,৭১৪টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy