ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের নতুন কমিটি গড়ে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। কিন্তু তার পর থেকেই গো-বলয়ের সব চেয়ে বড় রাজ্যে দলে ফাটল ধরা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন প্রিয়ঙ্কা। মায়ের কেন্দ্র রায়বরেলীতে প্রিয়ঙ্কার ‘পাঠশালা’ বসার কথা।
আগামী সপ্তাহে তিন দিনের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সনিয়ার কেন্দ্র রায়বেরলীতে প্রিয়ঙ্কার ‘পাঠশালা’ হবে আগামী ১৪-১৬ অক্টোবর। প্রিয়ঙ্কা নিজে ওই শিবির শুরু করবেন। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীও এক দিনের জন্য যেতে পারেন ওই ‘পাঠশালা’য়।
রাহুল গাঁধী সভাপতি থাকাকালীন প্রিয়ঙ্কাকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। পশ্চিমের দায়িত্ব ছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। কিন্তু এখন গোটা উত্তরপ্রদেশের ভার চলে এসেছে সনিয়া-কন্যার উপরে। গোটা রাজ্যে দলীয় বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত তিনিই নিচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে অজয় কুমার লাল্লুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। একই সঙ্গে তৈরি করে দিয়েছেন নতুন টিম। প্রিয়ঙ্কার এই পদক্ষেপগুলি ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে।
নতুন টিম ঘোষণার পর প্রদেশ কংগ্রেসের অনেকে ক্ষুব্ধ, কেউ ইস্তফাও দিচ্ছেন। দলের প্রাক্তন সাংসদ রাজেশ মিশ্রকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রকাশ্যেই বলছেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আমি কী উপদেশ দেব?’’ এক সময় বারাণসীর সাংসদ ছিলেন এই নেতাটি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, কারও মত না নিয়েই লাল্লুকে সভাপতি করা হয়েছে। বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা লাল্লু বেশি দিন হয়নি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে গত লোকসভা নির্বাচনে তিনিই উত্তরপ্রদেশে টিকিট বিলি করেছেন। তাতে দলের ভরাডুবি হয়েছে। কিন্তু হারের দায় কে নেবেন? সম্প্রতি বিধান পরিষদের এক সদস্য সিরাজ মেহন্দি নিজের ইস্তফা পত্র দলকে পাঠিয়েছেন।
রায়বরেলীতে ‘পাঠশালা’ সম্পর্কে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে প্রিয়ঙ্কার হাতে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়ার সময় রাহুল গাঁধী স্পষ্ট করেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য ২০২২ সালের বিধানসভা জয়। প্রিয়ঙ্কা সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। নতুন কিছু করতে গেলে বিরোধ আসবেই। কিন্তু দলকে কী ভাবে এগোতে হবে, তা নিয়ে প্রিয়ঙ্কার মনে কোনও দ্বিধা নেই। সেটিই তিনি সকলকে বুঝিয়ে দেবেন।’’
‘পাঠশালা’ শেষ হলে মহারাষ্ট্রেও ভোট প্রচারে যেতে পারেন প্রিয়ঙ্কা। শরদ পওয়ারের দলের সঙ্গে একটি যৌথ সভায় যোগ দেওয়ার কথা সনিয়ারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy