প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।—ফাইল চিত্র।
গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই পটেলের সব থেকে উঁচু মূর্তির পাদদেশই আজ দিনভর আঁকড়ে রইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল থেকে সেখানেই একের পর এক কর্মসূচিতে যোগ দিলেন। দিল্লিতে অমিত শাহ শুরু করালেন ‘ঐক্যের জন্য দৌড়’। রাজ্যে রাজ্যে নেতারাও হাঁটলেন, দৌড়লেন। চেন্নাইয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন হাঁটলেন বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাস্তায়।
পটেলকে নিয়ে মোদীরা যে মাতামাতি করবেন, কংগ্রেস তা জানত। সুযোগ বুঝে আজ ফের ইশারায় কংগ্রেসকে বিঁধে মোদী বলেছেন, পটেলের হাতে কাশ্মীরের বিষয়টি থাকলে সেই জট কাটাতে এত দিন লাগত না। গাঁধীর সার্ধশতবর্ষ নিয়ে কংগ্রেস তা-ও পথে নেমেছিল। কিন্তু পটেল জয়ন্তী নিয়ে এত দিন কিছুটা ঝিমিয়ে থাকতেই দেখা গিয়েছে তাদের। আজ কয়েকটি রাজ্যে অবশ্য কংগ্রেসের তরফে ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুদিবসের পাশাপাশি পটেলের জন্মদিনও পালন করা হয়েছে। কিন্তু দিল্লিতে সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহেরা মন দিয়েছেন ইন্দিরা স্মরণে।
এক সময়ে কংগ্রেসের ‘লৌহমানবী’ বলা হত ইন্দিরাকে। বিজেপির ‘লৌহপুরুষ’ লালকৃষ্ণ আডবাণী কার্যত অন্তরালে। তাঁর পূর্বসূরি, আর এক ‘লৌহপুরুষ’ পটেলের ঐতিহ্য নিয়ে আজ বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে দড়ি-টানাটানি যে একেবারেই হয়নি, এমন নয়। বিজেপির পটেল-প্রীতি নিয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা টুইটারে গর্জে উঠেছেন। রাহুল গাঁধী বিদেশে। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ঙ্কার টুইট, ‘‘সর্দার পটেল কংগ্রেসের আদর্শে নিষ্ঠাবান নেতা ছিলেন। তিনি জওহরলাল নেহরুর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন এবং আরএসএসের ঘোরতর বিরোধী। আজ তাঁকে আপন করার চেষ্টায় বিজেপিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে দেখে খুব খুশি হলাম। কারণ, বিজেপির এই পদক্ষেপে দু’টি বিষয় স্পষ্ট হল। এক, বিজেপির নিজেদের কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামী মহাপুরুষ নেই। দুই, সর্দার পটেলের মতো মহাপুরুষকে তাঁর শত্রুও আজ প্রণাম করল।’’
প্রিয়ঙ্কার থেকে এই খোঁচা খেয়ে নজর ঘোরাতে বিজেপি হইচই শুরু করে, রাহুল কোথায়? সর্দার পটেলকে নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই কেন? আরএসএসের এক নেতা বলেন, ‘‘নেহরু এক সময়ে বলেছিলেন, ‘গেরুয়া পতাকার জন্য এক ইঞ্চিও ছাড়ব না।’ তিনিই ১৯৬৩ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে আরএসএস-কে কুচকাওয়াজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।’’ সন্ধ্যায় ইন্দিরার নামে ‘ঐক্য পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে সনিয়াও তোপ দাগলেন। বললেন, ‘‘আজ অসহিষ্ণুতা, হিংসা বাড়ছে। মিথ্যা ও অবৈজ্ঞানিক ভাবনা সমাজে চাপানো হচ্ছে। ইতিহাসের একপেশে প্রচার হচ্ছে। এ সবই উদার, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ভিতের পরিপন্থী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy