ফাইল ছবি
এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ বললেন বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা। তাঁর দাবি, ভারতীয় গণতন্ত্রকে মজবুত করতে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে এমন এক জনকে দরকার যাঁর ‘নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা এবং কণ্ঠ’ রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘোষণার পরে ঝাড়াই-বাছাইয়ের পরে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে, প্রধান দুই প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু এবং যশবন্ত সিন্হার মনোনয়ন পত্র বৈধ। নির্বাচন ঘোষণার পরে রাষ্ট্রপতি হতে চেয়ে মোট ১১৫টি মনোনয়ন জমা পড়ে। পেশ করার সময়েই নিয়মনীতি না-মানায় ২৮টি মনোনয়ন পত্র বাতিলকরে দেয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রাজ্যসভার সচিবালয়। বৈধ ভাবে জমা পড়া ৭২ জনের ৮৭টি মনোনয়ন পত্রের মধ্যে ৭৯টি ঝাড়াই-বাছাইয়ের পরে বাতিল করা হয়েছে। সেই তালিকায় প্রধান ২ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র নেই। এর পরে শনিবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে রাজ্যসভার সচিবালয়। রাষ্ট্রপতি হতে চেয়ে যাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন লালুপ্রসাদ যাদব। তবে এই লালু বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ নন। এ ছাড়া মুম্বইয়ের এক জন বস্তিবাসী, তামিলননাড়ুর জনৈক সমাজকর্মী এবং দিল্লির এক অধ্যাপকও রয়েছেন। ১৮ জুলাই ভোটের পরে গণনার প্রয়োজন হলে তা হবে ২১ তারিখে।
তবে এনডিএ ছাড়াও তাঁর নিজের রাজ্য ওড়িশার শাসক দল বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস সমর্থন জানানোয় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর জয় সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যে ভাবে তাঁর মনোনয়ন পত্র তৈরি করে দিয়েছেন তা কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা। সিন্হা বলেন, “আমার মনোনয়ন পত্র তো আমি নিজে ভরেছি। এখন থেকে অন্যরা এ সব কাজ করে দেওয়ার অর্থ— তিনি রাবার স্ট্যাম্প হতে চলেছেন, যা গণতন্ত্রের পক্ষে সুখকর নয়।”
নিজে বিজেপির নেতা ও অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে রাজনৈতিক জীবনের বড় অংশ কাটানোরপরেও যশবন্ত মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, এমনকি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকেও সরকার তাদের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের কথা জানায়নি। এ বিষয়ে তাদের মতামত নেয়নি। আসলে দু-এক জনের সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি করে চাপিয়ে দেওয়ার পরিণাম যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। যশবন্ত বলেন, “অগ্নিপথ দেশে বেকার সমস্যা সমাধানের পথ হতে পারে না। কিন্তু সেটা সরকারকে বলবে কে?”
একই সঙ্গে রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়া লালের হত্যাকাণ্ডেরও কঠোর নিন্দা করে যশবন্ত বলেন, “দেশের গণতন্ত্রে এমন হত্যাকাণ্ডের স্থান নেই। সুখের কথা অপরাধী ধরা পড়েছে। আইন অনুসারে সব চেয়ে কঠোর শাস্তি যাতে সে পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” আবার অল্ট নিউজের সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরের গ্রেফতারেরও নিন্দা করেছেন বিরোধী রাষ্ট্রপতি প্রার্থী। যশবন্ত বলেন, “অপছন্দের লোক বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ চাপিয়ে কাউকে জেলে ভরে রাখা যায় না। এমন একটা দিনে তাঁকে গ্রেফতারকরা হল, যখন প্রধানমন্ত্রী জার্মানি গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যে কোনও মূল্যে রক্ষার পক্ষে সওয়াল করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy