ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযান চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার ছত্তীসগঢ় বিধানসভার ২৫তম বর্ষপূর্তি কর্মসূচির ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্য শীঘ্রই নকশাল চরমপন্থা থেকে মুক্তি পাবে।’’
২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশকে ‘মাওবাদীমুক্ত’ করার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি বছরের গোড়া থেকে ছত্তীসগঢ় এবং তার পড়শি মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, ওড়িশায় মাওবাদী দমনে ধারাবাহিক অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এই আবহে রাষ্ট্রপতির মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকেই।
ছত্তীসগঢ় বিধানসভায় আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে দেশের প্রথম তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী জানিয়েছেন, সে রাজ্যের মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলির গ্রামবাসীদের ‘উন্নয়নের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ এখন চূড়ান্ত এবং নির্ণায়ক পর্যায়ে’। তিনি বলেন, ‘‘ইতিহাসের একটি সোনালি অধ্যায় রচিত হতে চলেছে। আমরা জানি, ছত্তীসগঢ়ে নকশাল চরমপন্থী উপদ্রুত এলাকার মানুষ এখন মূলস্রোতে শামিল হতে উদ্গ্রীব।’’
চলতি মাসে ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি সরকার তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে দাবি করেছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মাওবাদী হামলা কমেছে ৫৩ শতাংশ। মাওবাদীদের হাতে নিরাপত্তাকর্মীদের মৃত্যু ৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু ৭০ শতাংশ কমেছে। রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানচ্ছে, গত এক বছরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য এসেছে। এই সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র প্রায় ৩০০ সদস্য নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। প্রায় এক হাজার মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছেন ৮০০-রও বেশি মাওবাদী।