Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Prakash Javadekar

নয়া নিয়মে খুশি আম জনতা, ওটিটি নিয়ে নির্দেশিকার পর দাবি জাভড়েকরের

জাভড়েকর জানিয়েছেন, ওটিটি-তে সম্প্রচারিত বিষয়ের উপর যে বিধিনিষেধের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তা পুরোপুরিই সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী তৈরি করা।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের হয়ে ব্যাট ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের হয়ে ব্যাট ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:১৩
Share: Save:

নেটমাধ্যমকে নিয়মের বেড়াজালে ‘বন্দি’ করার পর নরেন্দ্র মোদী সরকারের হয়ে ব্যাট ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজনের মতো ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট বা ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে নজরদারির অভিযোগ উঠলেও তা মানতে নারাজ তিনি। উল্টে তাঁর দাবি, “কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকায় খুশি আম জনতা। সাধারণ মানুষ এর প্রশংসা করেছে।”

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জাভড়েকর জানিয়েছেন, ওটিটি-র মতো নতুন মাধ্যমগুলিতে সম্প্রচারিত বিষয়ের উপর যে বিধিনিষেধের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তা পুরোপুরিই সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী তৈরি করা। তিনি বলেন, “সরকারের কাজ হল সকলকে সমমানের ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া। বস্তুত, আমরা ওটিটি-র মতো নতুন মাধ্যমের জন্যও একই নির্দেশিকা তৈরি করেছি।”

নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজনের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যে সিনেমা-ওয়েব সিরিজ দেখানো হয়, তাতে যৌনতা বা হিংসার বাড়াবাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার পক্ষের দাবি, মহিলাদের সম্মানহানি রুখতে বা দেশবিরোধী কার্যকলাপে রাশ টানতে এই ‘নিয়ন্ত্রণ’ জরুরি। পাশাপাশি, ভুয়ো খবরের মাধ্যমে দেশে হিংসা ছড়ানো বন্ধ করতেও নিয়ম চালু করা প্রয়োজন। তবে বিরোধীদের দাবি, সরকারি নির্দেশিকা আসলে নজরদারির সমান। এর ফলে সেন্সরের আওতায় আনা হতে পারে ওই প্ল্যাটফর্মগুলিকে। এমনকি, সরকারি নজরদারি চালানো যেতে পারে টুইটার বা ফেসবুকের মতো সাইটগুলির উপরও। যদিও সরকারের পাল্টা দাবি, ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার আঘাতকারী বিষয়বস্তুর প্রকাশ রুখতেই ওটিটি-র যাবতীয় কনটেন্ট বা টুইটার-ফেসবুক প্রচারিত পোস্টের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জাভড়েকরের মন্তব্য, “নতুন মাধ্যমগুলিকে সরকারের আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠানের মান নির্ধারণ করতে হবে। তা সংবাদ পরিবেশনকারী কোনও মাধ্যম হলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে কেন ওটিটি-র ক্ষেত্রেই এই প্রশ্ন উঠছে?”

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ওটিটি-সহ টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এ বার থেকে ওটিটি-র প্ল্যাটফর্মগুলির প্রকাশকদের অনুষ্ঠানের বিষয় অনুযায়ী তা ৫ ভাগে ভাগ করার কথাও বলা হয়েছে। সকলের জন্য হলে তা ‘ইউনিভার্সাল’ বা ‘ইউ’, ৭ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দেখার যোগ্য হলে ‘ইউ/এ-৭+ বছর’, তার পর থেকে বয়স অনুযায়ী, ‘ইউ/এ-১৩+ বছর’, ‘ইউ/এ-১৬+ বছর’ এবং ‘এ’ অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বলে বিবেচিত হবে। এ ছাড়াও একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে তা নিষ্পত্তির জন্য আধিকারিকও নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপত্তিকর পোস্ট সরিয়ে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। এই নতুন নিয়মের আওতায় রাজনৈতিক দলগুলিকেও আনা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy