মুকেশ অম্বানীর বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরে রাখা বিস্ফোরক ভর্তি সেই গাড়ি। ফাইল চিত্র।
‘ইয়ে সির্ফ ট্রেলার হ্যায়’…। অর্থাৎ সবে তো শুরু। মুকেশ অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’র সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার এক হুমকি চিঠি ঘিরে রহস্য আরও দানা বেঁধেছে।
উদ্ধার হওয়া সেই চিঠিটি শুক্রবার প্রকাশ্যে এনেছে মুম্বই পুলিশ। চিঠিতে অম্বানী পরিবারের উদ্দেশে লেখা, ‘এ তো সবে ট্রেলার। নীতা বৌদি, মুকেশ ভাই, এটা শুধুমাত্র একটা ঝলক। পরের বার এই বিস্ফোরকই তৈরি অবস্থায় তোমাদের বাড়িতে পাঠাব। সব বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে’। (ইয়ে তো সির্ফ ট্রেলার হ্যায়। নীতা ভাবী, মুকেশ ভাইয়া, ফ্যামিলি ইয়ে তো সির্ফ এক ঝলক হ্যায়। আগলি বার ইয়ে সামান পুরা হোকর তুমহারে পাস আয়েগা অওর পুরা ইন্তেজাম হো গায়া হ্যায়।)
বৃহস্পতিবার মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে দীর্ঘ ক্ষণ একটা সবুজ রঙের পরিত্যক্ত স্করপিও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রাই। পুলিশ এসে গাড়িটি তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় ২০টি জিলেটিন স্টিক। তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এমন একটা ভিভিআইপি এলাকায় কী ভাবে এবং কারা ওই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি রেখে গেল, তা নিয়ে যখন তদন্ত শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময়েই পুলিশের হাতে আসে হুমকি চিঠিটি। গাড়ির ভিতর থেকেই চিঠিটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একেই গাড়ির যে নম্বরপ্লেট ছিল, তা নকল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। তার পর এই হুমকি চিঠি সেই রহস্যকে আরও ঘনীভূত করে তুলল। পুলিশ সন্দেহ করছে, অভিযুক্তরাই গাড়ির সম্পর্কে জানিয়ে পুলিশকে ফোন করেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এক মাস ধরে এই পরিকল্পনা চলছিল। মুকেশের বাড়ির সামনে গাড়িটি রাখার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরে গাড়িটি পার্ক করে তারা।
তবে পুলিশ মনে করছে, গাড়িটি ইচ্ছাকৃত ভাবেই একটু দূরে পার্ক করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা এটাই বোঝাতে চেয়েছে যে, প্রয়োজনে অম্বানীদের খুব কাছে যেতে বেশি সময় লাগবে না তাদের। হুমকি চিঠির বয়ানও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy