চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: এস জয়শঙ্করের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।
প্যাংগং হ্রদ এলাকা থেকে দু’পক্ষের সেনা সরানোর পর নিজেদের মধ্যে টেলিফোনে প্রায় সওয়া ১ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক সারলেন ভারত-চিনের বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে ভারত-চিনের সামগ্রিক সম্পর্ক জড়িত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব অ্যাকচ্যুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) বরাবর এলাকার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্যাংগং হ্রদের দু’ধার থেকে সেনা সরানোর পর পূর্ব লাদাখের যে অঞ্চলগুলি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত মেটানোর বিষয়েও কথাবার্তা হয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রীকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে পূর্ব লাদাখে যে সমস্ত অঞ্চলগুলি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে, তা থেকে দু’পক্ষের সেনা সরানোর পরই এলাকায় শান্তি এবং সুস্থিতির বিষয়ে নজর দিতে পারবে ভারত এবং চিন। এ নিয়ে গত বছর মস্কোয় ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন জয়শঙ্কর।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘বৈঠকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মস্কোয় চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বৈঠকে পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে চিনের উস্কানিমূলক আচরণ এবং সার্বিক ভাবে এলাকার স্থিতাবস্থা বিগড়োনোর প্রচেষ্টায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। যা গত বছর দু’দেশের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে’।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে সময় লাগবে বলে মনে করে ভারত। তবে ওই এলাকায় হিংসার মাধ্যমে শান্তি এবং স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত ঘটলে, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেই প্রভাবিত করবে।
গত বছর মস্কোর বৈঠকে দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীই সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমিত করায় সায় দিয়েছিলেন বলেও চিনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি যে দু’দেশের স্বার্থেই ইতিবাচক নয়, সে সময় তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। দু’পক্ষের উচিত আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মস্কোর বৈঠকে এমনটাও জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর।
গত বছর মস্কোর বৈঠকের পর থেকে ভারত-চিন, দু’পক্ষ দফায় দফায় সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করেছে। চলতি মাসে প্যাংগং হ্রদ এলাকা থেকে দু’পক্ষের সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার পিছনেও ওই আলোচনা কাজে এসেছে, এমনটাই মনে করেন জয়শঙ্কর। জয়শঙ্করের সঙ্গে টেলিফোনে বৈঠকের পর এখনও পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেনা সরানোর বিষয়ে বৈঠকে তিনি বলেছেন, “সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতিতে পারস্পরিক সম্মান, সংবেদনশীলতা এবং স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে জোর দিয়েছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy