ব্যাঙ্ক ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারে গিয়ে নিজেদেরই বোমা ফেটে জখম হয়ে ধরা পড়ল দুই দুষ্কৃতী। দলের আরও চার জন পলাতক। আজ সকালে ভোজপুরের জেলাসদর, আরার সব্জিগোলা এলাকার একটি ধর্মশালাতে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। বিহারের এডিজি (সদর) এইচ কে সিঙ্ঘল বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, দেশি বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বম্ব স্কোয়াড এবং এটিএস ঘটনাস্থলে গিয়েছে।’’ পশ্চিমবঙ্গের ডিজিকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছে বিহার পুলিশ। তারা হুগলির তেলেনিপাড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা।
কলকাতা-ইলাহাবাদ বিভূতি এক্সপ্রেসে ওই দুষ্কৃতীরা আরায় পৌঁছয়। সেখানে একটি ধর্মশালায় ওঠে তারা। তার পরেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে দু’জন জখম হয়। ধৃত ডাকাতদের ব্যাগ থেকে একটি আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাঙ্ক ডাকাতির উদ্দেশেই তারা বিহারে এসেছিল।
বেশ কিছু দিন ধরেই ভোজপুর, বক্সার ও পটনা জেলায় ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও কোনও সূত্র পাচ্ছিল না। আরা শহরের বিস্ফোরণ সেই ঘটনায় সূত্রের কাজ করল বলেই মনে করছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা থেকেই ডাকাতরা এসে বিহারের বিভিন্ন শহরে হানা দিচ্ছিল বলেই অনুমান তাঁদের।
পুলিশ জানিয়েছে, আরায় মধ্য বিহার গ্রামীণ ব্যাঙ্কের একটি শাখার পাশে, একটি ধর্মশালায় আশ্রয় নেয় তারা। সেখানে পরিচয়পত্র দেখানোর সময় ব্যাগ খুলতে গিয়ে অসাবধানতার জেরে বিস্ফোরণ ঘটে। ব্যাগের মধ্যেই ছিল দেশি বোমা। তা আচমকা ফেটে যেতেই ধর্মশালায় হামলা হয়েছে বলে হইচই পড়ে যায়।
ধৃতদের একজনের নাম জিতেন্দ্র কুমার। আদতে বিহারের আরার বাসিন্দা হলেও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই হুগলির তেলেনিপাড়ায় বসবাস করছে। তাকে জেরা করেই ব্যাঙ্ক ডাকাতির কথা জানতে পারে পুলিশ। অন্যদের পরিচয়ও জানার চেষ্টা হচ্ছে। ধৃত আহতদের একজনকে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে এবং আধার কার্ড থেকে মনে হচ্ছে দলের সদস্যরা তেলেনিপাড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে তদন্তে এগোতে চাইছে বিহার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy