ঝাঁসির হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গড়া হল চার সদস্যের তদন্তকারী দল। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যেই ওই দল তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের সদ্যোজাত শিশু (নিকু) বিভাগে আগুন লেগে ১০ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও ১৬ জন শিশু। তবে ঠিক কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ত্রুটি ছিল। দুর্ঘটনার সময় কাজ করেনি ‘ফায়ার অ্যালার্ম’ও। এমনই নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের চার আধিকারিককে নিয়ে একটি দলও গঠন করা হয়েছে। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা আধিকারিক।
আরও পড়ুন:
তদন্তে শুরুতেই হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রটি আদৌ মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল না। এর পরেই উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন। নার্সের ‘গাফিলতি’তেই কী দুর্ঘটনা? দেশলাই জ্বালিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের পাইপ জোড়া লাগানোর মতো কাজ থেকেই কী অগ্নিকাণ্ড? সে সবই খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী দল। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই তদন্তকারী দলকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার অগ্নিকাণ্ডে মৃত সাত শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। বাকি তিন শিশুর বাবা-মায়ের খোঁজ না মেলায় তাদের দেহের ময়নাতদন্ত করা যায়নি। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখার জন্য ঝাঁসির ডিভিশনাল কমিশনার এবং ডিআইজিকে নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাঁদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। কী কারণে দুর্ঘটনা, তার আভাস থাকতে পারে ওই রিপোর্টে।