ছবি: সংগৃহীত।
তিনটি শিশুর মৃত্যুতে যেন জেগে উঠেছে সব পক্ষ। রাজ্য এবং কেন্দ্র আলাদা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালাও। সক্রিয় জাতীয় মানবধিকার কমিশনও। কেন্দ্র-রাজ্যকে উভয়কেই নোটিস পাঠিয়ে, কেন ওই ঘটনা ঘটল জানতে চেয়েছে তারা।
মৃত শিশুদের পিতা মঙ্গল আদতে মেদিনীপুরের বাসিন্দা। সে দিক থেকে ঘটনাটির সঙ্গে বাংলারও যোগ রয়েছে। এ দিন কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। ওঁরা কত দিন আগে রাজ্য ছেড়ে গিয়েছেন, কী ঘটেছে, খোঁজ নিচ্ছি।’’ বিরোধীদের একাংশ অবশ্য অভিযোগ করছেন, দিল্লিতে আপ সরকার বন্ধু বলেই তৃণমূল ঘটনাটি নিয়ে সে ভাবে হইচই করছে না।
আজ সকালে মান্ডাবলীর বাড়িতে শিশুদের মা বীণাদেবীর সঙ্গে দেখা করেন দিল্লি বিজেপির প্রধান মনোজ তিওয়ারি। তিনি চলে যেতেই খবর আসে, স্থানীয় বিধায়ক তথা উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া আসছেন। খবর ছড়াতেই দ্রুত বীণাদেবীকে থানায় নিয়ে যায় কেন্দ্রের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। আবার দিল্লি পুলিশকে অস্বস্তিতে রাখতে পরে থানার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান কেজরীবালের হাতে থাকা মহিলা কমিশন।
শাসক আপ শিবিরের দিকে অবশ্য এক সুরেই আঙুল তুলেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। দু’দলেরই অভিযোগ, প্রতি ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প চালু করার দাবিতে উপরাজ্যপালের বাড়িতে ধর্না দিতে পারেন কেজরীবাল। কিন্তু তাতেও প্রকল্প দিনের আলো দেখে না। দিল্লিতে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে আজ লোকসভাতেও সরব হন বিজেপি সাংসদরা। যদিও সিসৌদিয়াদের দাবি, কেন্দ্রের নির্দেশে অসহযোগিতা করছেন ফুড কমিশনার। তাই প্রকল্প চালু করা যাচ্ছে না।
আপ শিবিরের দাবি, ওই পরিবারের রেশন কার্ড না থাকায় তারা ভর্তুকিযুক্ত রেশন পেত না। পাল্টা হামলায় রেশন কার্ড বানানোর দায় রাজ্য প্রশাসনের ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছে কেন্দ্র। খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও পরিবার রেশন কার্ড পাবে কি না, সেটা রাজ্য সরকার ঠিক করে। খাদ্য বণ্টনের দায়িত্বও রাজ্যের। কেন্দ্রের দায়িত্ব গুদামে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া। কার গাফিলতিতে পরিবারটি রেশন পাচ্ছিল না। তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy