পড়ুয়ার উপর লাঠিচার্জ পুলিশের। সোমবার দিল্লিতে। ছবি: রয়টার্স
রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানের মাঝপথেই আটকে দেওয়া হল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পড়ুয়াদের। শুধু আটকানোই নয়, বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের বক্তব্য, ভিখাজি কামা মেট্রো স্টেশন এলাকায় ব্যারিকেড ঠেলে এগনোর চেষ্টা করলে পড়ুয়াদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।
সম্প্রতি জেএনইউ-এর হস্টেলের ফি ৩০০ গুণ বাড়িয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ক্যাম্পাসে মিছিল, প্রতিবাদ শুরু করেন পড়ুয়ারা। তার পর সেই ফি বৃদ্ধি আংশিক প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। কিন্তু পড়ুয়াদের দাবি, পুরো ফি বৃদ্ধিই প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবিতেই সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানের ডাক দেন পড়ুয়ারা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ দিন দুপুরের দিকে ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে এগোতে থাকেন পড়ুয়ারা। পুলিশও আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। ভিখাজি কামা মেট্রো স্টেশনের কাছে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী গার্ড ওয়াল। মিছিল সেখানে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ব্যারিকেড টপকে ছাত্রছাত্রীরা এগোতে শুরু করেন। তখনই পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে।
পড়ুয়াদের যদিও অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। তাঁদের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেমানান। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় অর্থিক দুর্বলতার কারণে কোনও পড়ুয়ার পড়াশোনার দরজা বন্ধ করেনি বিশ্ববিদ্যালয়। বরং সব শ্রেণি, ধনী-দরিদ্র সবার জন্যই উন্মুক্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পডু়ন: সিএবি-এনআরসি একই মুদ্রার দু’পিঠ, এক জনকেও তাড়াতে দেব না: খড়্গপুরে হুঙ্কার মমতার
আরও পডু়ন: শিয়া মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অন্তর্ভুক্ত করা হোক, চিঠি শাহকে
ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ এবং পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে আগেও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে ই-মেল করেছিলেন পড়ুয়ারা। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে তাঁকে দাবিদাওয়া জানিয়ে আসার কথা ছিল পড়ুয়াদের। কিন্তু তার আগেই আটকে দিল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy