সেনা অফিসার উমের ফৈয়াজকে অপহরণ ও খুনে কোনও জঙ্গি দল জড়িত নয় বলে দাবি করল ইউনাইটেড জেহাদ কাউন্সিল।
এ দিন উমের-হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে জেহাদিদের ওই সংগঠনের নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনের দাবি, ‘‘আমাদের কোনও সদস্য ওই সেনা অফিসারকে খুন করেনি।’’ পাল্টা ভারতের দিকে আঙুল তুলে এই জঙ্গি নেতার দাবি, ‘‘ভারতীয় কোনও সংস্থাই ওই সেনা অফিসারকে খুন করেছে। নিজেদের দোষ ঢাকতে তারা জঙ্গিদের দিকে আঙুল তুলছে।’’ ওই সংগঠন আরও জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাকে কাশ্মীর থেকে হটাতে লড়াই চালাচ্ছে স্থানীয় মানুষই। এর পিছনে আল কায়দা, আইএস বা তালিবানের হাত নেই।
জঙ্গি নেতৃত্ব যা-ই দাবি করুক, যে ভাবে বিয়ের আসর থেকে উমেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে, তাতে জঙ্গি-যোগ স্পষ্ট বলে মানছেন উপত্যকাবাসীই। স্থানীয় ছেলেকে এ ভাবে খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছেন শোপিয়ানবাসী। সেনার দাবি, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতেও সাহায্য করছেন তাঁরা। উমের খুনে আজ জড়িত তিন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, জঙ্গিদের নাম ইশফাক আহমেদ ঠোকার, গয়াস উল ইসলাম ও আব্বাস আহমেদ ভাট। এদের মধ্যে আব্বাসই ওই হত্যার মূল চক্রী বলে সন্দেহ পুলিশের। দক্ষিণ কাশ্মীরে তাদের ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জঙ্গিদের খোঁজ দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ।
উপত্যকার এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ হুরিয়ত নেতাদের হুমকি দিল হিজবুল কম্যান্ডার জাকির ভাট ওরফে মুসা! আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়ে পাঁচ মিনিটের একটি হুমকি-অডিওয় বুরহান ওয়ানির এই উত্তরসূরিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি সেই সব ভণ্ড হুরিয়ত নেতাদের সতর্ক করছি, যাঁরা ইসলামের জন্য আমাদের লড়াইয়ে হস্তক্ষেপ করবেন। আর তাঁরা হস্তক্ষেপ করল তাঁদের মাথা কেটে লাল চকে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে!’’
জম্মুর আরনিয়া সেক্টরে আজ সকালে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানি সেনা। আহত হন এক বিএসএফ জওয়ান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy