মনোজ সাহানি (বাঁ দিকে), সরস্বতী বৈদ্য (ডান দিকে)। ভাড়ার সেই ফ্ল্যাট (মাঝে)। —ফাইল চিত্র।
লিভ-ইন সঙ্গীকে টুকরো টুকরো করে কেটে দেহাংশ সেদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে মুম্বইয়ের মীরা রোডের বাসিন্দা মনোজ সাহানির বিরুদ্ধে। খুনের পর তিনি গুগলে কী কী সার্চ করেছিলেন, এ বার সেই তথ্যও পুলিশের হাতে এল। মনোজকে গ্রেফতার করার পর তাঁর মোবাইল ফোন তন্ন তন্ন করে ঘেঁটেছে পুলিশ। তাদের হাতে এসেছে মনোজের ‘সার্চ হিস্ট্রি’।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কী ভাবে একটি মৃতদেহ গায়েব করতে হয়, সেই পদ্ধতি অনলাইনে সার্চ করেছিলেন মনোজ। একই সঙ্গে তিনি রক্তের দাগ মোছার পদ্ধতিও ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। সে সবই রয়ে গিয়েছে মনোজের ‘সার্চ হিস্ট্রি’তে।
পুলিশ জানিয়েছে, মনোজের ‘সার্চ হিস্ট্রি’ এই খুনের আরও খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। প্লাইউড কাটার জন্য যে যন্ত্র মনোজ ব্যবহার করতেন, তা দিয়েই সরস্বতী বৈদ্যের (৩২) দেহ কেটেছিলেন তিনি। সরস্বতীর সঙ্গে মনোজ লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন। তাঁদের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোনোর সূত্র ধরে সেখানে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। বালতিতে কেটে রাখা মানুষের দেহাংশ উদ্ধার করা হয় ৫৬ বছরের মনোজের ফ্ল্যাট থেকে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রক্তের দাগ মোছার জন্য ‘ইউক্যালিপটাস অয়েল’ ব্যবহার করেছিলেন মনোজ, তদন্তে তেমনই দাবি পুলিশের। এই তেলের পাঁচটি শিশি কিনেছিলেন তিনি। মনোজের বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত যা যা উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইউক্যালিপটাস অয়েলের শিশি, প্লাইউড কাটার যন্ত্র, প্রেসার কুকার (যার মধ্যে সরস্বতীর দেহাংশ সেদ্ধ করা হয়), চামচ এবং বালতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy