—প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এ বার ওই মামলার সঙ্গেই সম্পর্কিত অপর একটি মামলায় নির্যাতিতা কিশোরীর পিতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোতপুলতি-বেহরোর জেলায়। স্থানীয় থানার এসএইচও জানিয়েছেন, নাবালিকার জন্মতারিখ সংক্রান্ত নথিপত্রে কারচুপি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, অভিযুক্ত যাতে জামিন পেয়ে যায়, সেই কারণেই নথিপত্রে কারচুপি করছিলেন নির্যাতিতার পিতা।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, কিশোরীর এক আত্মীয় ২ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পরে ওই ব্যক্তি কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। কিশোরীর আত্মীয়, অভিযুক্ত যুবক ও অভিযুক্তের পিতাকে গ্রেফতার করেছিল এবং বর্তমানে তিন জনেই জেল হেফাজতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পুলিশকে দেওয়া প্রাথমিক বয়ানে নির্যাতিতার জন্ম সাল ছিল ২০১০। পরে নির্যাতিতার পিতা পুলিশের কাছে একটি নথি জমা দেন, সেখানে জন্ম সাল ছিল ২০০৩। বিষয়টি দেখে সন্দেহ জেগেছিল পুলিশের মনে। কারণ, জন্ম সালে এই ফারাকের কারণে পকসো মামলা আর কার্যকর থাকত না। সেই মতো তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে উত্তরপ্রদেশের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে ওই ভুয়ো নথি বার করেছিলেন অভিযুক্তের পিতা। সেই মতো নথিতে কারচুপির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরে ওই বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতিতার পিতাই ওই জাল নথি বানিয়ে দিতে বলেছিলেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর শনিবার নির্যাতিতার পিতাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় থানার এসএইচও জানিয়েছেন, দু’জনকে গ্রেফতার করে তাঁদের বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতির পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy