গ্রেফতারের পরে মহম্মদ শাহরুখ। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
দিল্লিতে সংঘর্ষের সময়ে পিস্তল হাতে পুলিশের দিকে তেড়ে আসা যুবককে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ শাহরুখ নামে ওই যুবককে আজ উত্তরপ্রদেশের শামলী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা (হত্যার চেষ্টা), ১৮৬ এবং ৩৫৩ ধারা এবং অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির সীলমপুরের বাসিন্দা শাহরুখ। তবে এর আগে পুলিশের খাতায় কখনও তাঁর নাম ওঠেনি। জানা গিয়েছে, শাহরুখ নিয়মিত টিকটকে ভিডিয়ো পোস্ট করত, নিজেকে ‘মাচো’ বলে দেখাতে ব্যগ্র যুবকটি জিমেও যেত নিয়মিত। তার গানের একটি সিডিও পেয়েছে পুলিশ। শাহরুখের নিজের একটি কারখানা রয়েছে। ওই কারখানার মুঙ্গেরবাসী এক কর্মীর কাছ থেকে সে পিস্তলটি কিনেছিল।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, শাহরুখের বাবা শেহর পাঠানের (এখন জামিনে মুক্ত) বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে মামলা চলছে। বরেলীর মাদকপাচারকারীদের সঙ্গে শাহরুখের বাবার যোগাযোগের খবর পাওয়ার পর থেকে পুলিশের অনুমান ছিল, সে হয়তো ওই এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার অজিত শিংলার নেতৃত্বে একটি দল শামলীর বাসস্টপ থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তবে তার পিস্তল এবং যে গাড়িতে সে দিল্লি থেকে পালিয়েছিল, এখনও উদ্ধার হয়নি।
সিএএ-বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষ ঘিরে গত
২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে তেতে ওঠে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। ইট ও গুলিবৃষ্টি চলতে থাকে। সেই সময়ে জাফরাবাদ-মৌজপুর এলাকায় পিস্তল হাতে এক পুলিশকর্মীর দিকে
তেড়ে যায় মেরুন রঙের টি-শার্ট পরা শাহরুখ। পুলিশের সামনেই তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ওই দিন জাফরাবাদ এলাকায় শাহরুখের গুলিতে কেউ মারা গিয়েছিলেন কি না, তার তদন্ত হচ্ছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়ো এবং ছবিতে দেখা গিয়েছে, সেদিন ইট ছোড়াছুড়ি চলার সময়ে রাস্তায় হাঁটছেন এক পুলিশকর্মী। পাঁচ-ছ’জনের একটি দল তাঁর দিকে তেড়ে যায়। তাঁদের মধ্যে থেকে শাহরুখ পিস্তল হাতে এগিয়ে আসে। প্রথমে শূন্যে গুলি ছোড়ে। তার পর ওই পুলিশকর্মীর দিকে পিস্তল তাক করে। দীপক দহিয়া নামের ওই পুলিশকর্মী হাত তুলে জানান, তিনি নিরস্ত্র। তখন তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় শাহরুখ। ফের গুলি ছোড়ে।
দিল্লি পুলিশের দাবি, বজমেজাজি বলে শাহরুখ পরিচিত। সে দিন সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর সে এস্টিম গাড়িতে ঘটনাস্থলে যায়। গাড়ি থেকে নেমে পিস্তল নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে থাকে এবং গুলি ছোড়ে।
ঘটনার পর সে ওই গাড়িতেই পালায়। প্রথমে সে জালন্ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল, পরে যায় বরেলীতে। সেখানে বাবার বন্ধুরা তাকে আশ্রয় দিয়েছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। পরে সে অন্যত্র পালানোর ছক কষে শামলীতে গিয়েছিল। ধরা পড়ে সেখানেই। শাহরুখের গোটা পরিবার পলাতক। তাদেরও খোঁজা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy