দেশের নানা প্রান্তে আরও ১৮ জন কিশোরীকে পরিচারিকার কাজে নিয়োগ করেছিল দিল্লির সংস্থা। প্রতীকী ছবি।
গুরুগ্রামের পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্তে আরও ১৮ জন কিশোরীকে পরিচারিকার কাজে নিয়োগ করেছিল দিল্লির সংস্থা। গুরুগ্রামের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তাদের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ। ওই নাবালিকা কিশোরীরাও নির্যাতনের শিকার হয়েছে কি না, তারা কোথায় কেমন আছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
গুরুগ্রামে ১৭ বছরের কিশোরী পরিচারিকাকে বাড়িতে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা কিশোরীর উপর নানা অত্যাচার করতেন। পরিচারিকাকে রোজ মারধর করা হত। এমনকি, তাকে শিকের ছ্যাঁকা দেওয়াও হত। কিশোরীর পোশাক খুলে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, কিশোরীকে ঘরে বন্দিও করে রাখতেন দম্পতি। অভিযোগের পর গুরুগ্রামের নিউ কলোনি এলাকার বাসিন্দা মণীশ খট্টর এবং তাঁর স্ত্রী কমলজিত কউরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা চাকরিও হারিয়েছেন। ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও তার বয়ান রেকর্ড করা যায়নি।
জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যেম পুলিশ জানতে পেরেছে, দিল্লির একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে পরিচারিকা নিয়োগ করেছিলেন দম্পতি। সংস্থার মালিক অরুণ তুরি এবং তাঁর সঙ্গী মনোজ নাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ১৮ কিশোরী পরিচারিকার কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ওই ১৮ কিশোরীর মধ্যে ৩ জন দিল্লি, পানিপথ এবং চণ্ডীগড়ে কর্মরত। সংস্থার অফিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুগ্রামের ওই পরিচারিকার কানে গরম রডের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। কান এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে চিকিৎসকদের। জেলা উন্নয়ন দফতর কিশোরীর জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy