তার পরে হঠাৎই লাল রঙের একটি কেব্ল কার এসে ওই পর্যটকের কেব্ল কারে ধাক্কা মারে। মোবাইলে আর কোনও ছবি না দেখা গেলেও ওই পর্যটকের আর্তনাদ শোনা যায়।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই রোপওয়ে। —নিজস্ব চিত্র।
দেওঘরের রোপওয়ে দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিপর্যয়ের মোকাবিলা আরও দক্ষ ভাবে করার উপরে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত রবিবার দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে কেব্ল কার দুর্ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় ৪৬ ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধার হন ৫৬ জন পর্যটক। মারা যান তিন জন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা ও বায়ুসেনা, গরুড় কমান্ডো, আইটিবিপি-র সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার যে বাসিন্দারা ওই উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিলেন, আজ তাঁদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ওই ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ শোনার পাশাপাশি উদ্ধারকাজের সময়ে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং তার মোকাবিলা কী ভাবে সম্ভব হয়েছে, তা নথিবদ্ধ করে রাখার উপরে জোর দেন, যাতে ভবিষ্যতে সেগুলি কাজে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই ধরনের যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ভারতের কাছে দক্ষ কর্মী রয়েছে। তাঁদের জন্য দেশবাসী গর্বিত।’’ উদ্ধারকাজে যে ভাবে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় দেখা গিয়েছে, তার প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিয়ো আজ প্রকাশ্যে এসেছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি কেব্ল কারের মধ্যে থাকা এক পর্যটকের তোলা ওই ভিডিয়োয় প্রথমে পাহাড়ের কিছু মনোরম দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তার পরে হঠাৎই লাল রঙের একটি কেব্ল কার এসে ওই পর্যটকের কেব্ল কারে ধাক্কা মারে। মোবাইলে আর কোনও ছবি না দেখা গেলেও ওই পর্যটকের আর্তনাদ শোনা যায়।
ওই দুর্ঘটনায় দু’জন ও উদ্ধারকাজ চলাকালীন সেনার হেলিকপ্টারে ওঠার সময়ে পড়ে গিয়ে এক জন মারা যান। ঝাড়খণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী বান্না গুপ্ত বলেন, ‘‘সম্ভবত কোনও গাফিলতি ছিল, তাই এই দুর্ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছেন। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে রেয়াত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy