(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কার্গিল বিজয় দিবসে বিতর্কিত ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের পক্ষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে মোদী বলেন, ওই প্রকল্প নিয়ে কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজনৈতিক প্রচার চালাচ্ছে। কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করুক সরকার।
আজ কার্গিল জয়ের রজতজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে দ্রাস এলাকায় সেনার যুদ্ধস্মারক পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর অগ্নিপথ-অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে মুখ খোলেন। সম্প্রতি লোকসভায় ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে রাহুলের অভিযোগের পরে এই প্রথম ওই পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার গড় বয়স কমানোর জন্য ওই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।’’ রাহুলের নাম না করে মোদী বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত কিছু ব্যক্তি
জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও মিথ্যার রাজনীতি করছেন।’’
তবে নতুন ওই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি রয়েছে সেনাবাহিনীর একাংশেরই। ওই প্রকল্পে সেনার গড় বয়স কমাতে চার বছরের জন্য নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চার বছরের শেষে ১০ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’ স্থায়ী চাকরি পেলেও, বাকি ৯০ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’কে বাধ্যতামূলক ভাবে অবসর নিতে হবে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের যুবকদের বড় অংশ মূলত পাকা চাকরির লক্ষ্যে সেনায় যোগ দেন। কিন্তু চার বছরের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের শেষে তাঁরা বেকার হয়ে যাবেন, সেই আশঙ্কায় সরব যুব সমাজের একাংশ। যার প্রভাব ভোটে যে পড়েছে তা বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তা সত্ত্বেও ওই পরিকল্পনা যে চালু থাকবে তা স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
বিরোধীদের অভিযোগ, সেনায় পাকা চাকরির বেতন ও পেনশন খাতে খরচ কমাতে সরকার ওই প্রকল্প চালু করেছে। মোদী বলেন, ‘‘কিছু লোক ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে যে সরকার পেনশন খাতে খরচ কমাতে ওই পরিকল্পনা নিয়েছে। আমার প্রশ্ন, আজ যাঁদের সেনায় পাকা চাকরি হচ্ছে, তাঁদের ত্রিশ বছর পর পেনশন দিতে হবে। সরকার এখন কেন তা নিয়ে ভাববে?’’ কংগ্রেস নেতা সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়ার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘অগ্নিবীরদের চার বছর পরে কী হবে, প্রধানমন্ত্রী বরং তা নিয়ে মুখ খুলুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy